নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধি : পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে জমে উঠেছে যশোরের শার্শার ঐতিহ্যবাহী বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুর হাট। এ হাটে এবার ভারতীয় গরু না আসলেও দেশী গরুতে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুহাটটি। তবে দাম একটু বেশি।তা হলেও কোরবানিতে দেশি গরু কিনতে আগ্রহ বেশী ক্রেতাদের।
খামারিরা বলছেন, ভারতীয় গরু না আসার কারনে এ বছর তারা ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারছেন। তবে, ঈদকে ঘিরে গো-খাদ্যের দাম একটু বেড়ে গেছে। এ কারনে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ তাদের।
শার্শা উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১১শ’ খামারের গরু বিভিন্ন পশুর হাটে নিচ্ছেন বিক্রেতারা। ভালো দামও পাচ্ছেন। তবে গো-খাদ্যের দাম না কমালে লোকসানের আশঙ্কাও করছেন খামারিরা।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জয়দেব কুমার সিংহ বলেন, ‘ভারতীয় গরু-ছাগল না এলেও কোরবানির পশুর হাটে এর কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। যশোরে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৩টি পশুর হাট রয়েছে। এর বাইরে ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরও ১১টি অস্থায়ী হাট গড়ে উঠেছে। তবে সবচেয়ে বড় পশুর হাট হচ্ছে বাগআঁচড়া সাতমাইল পশু হাট। এটা দেশের মধ্য দ্বিতীয় বৃহত্তম পশুহাট হিসেবে বিবেচিত।
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তদারকির জন্য আমরা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে সবসময় মনিটরিং করছি।’
বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুর হাটের সভাপতি আলহাজ্ব ইয়াকুব আলী বিশ্বাস জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এ হাটে স্থানীয় খামারিসহ ব্যাপারিরা বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। আশা করছি কোরবানিতে পশুর কোনও সংকট এবার হবে না।
বাগআঁচড়ার সাতমাইল পশু হাটের সাধারণ সম্পাদক ও বাগআঁচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইলিয়াছ কবির বকুল জানান, এ পশুর হাট সার্বক্ষণিক প্রশাসনের তদারকিতে চলছে।রয়েছে পর্যাপ্ত নিরােপত্তাার ব্যবস্হা।ভারতীয় গরু না আসায় এ বছর দেশীয় খামারিরা অনেকটা লাভের মুখ দেখবেন বলে তিনি জানান,
তিনি আরোও বলেন ভারত থেকে গরু না আসায় ক্রেতাদের একটু চড়া দামে পশু কিনতে হচ্ছে।তারপরেও ক্রেতা বিক্রেতা উভয় বেশ সাচ্ছন্দের সাথে কেনা বেচার কাজ সেরে বাড়ী ফিরছেন। ফলে দেশীয়
খামারিরা গরু পালনে দ্বিগুন উৎসাহ পেয়েছে। খামারিরা বলছেন, ভারত থেকে গরু না আসলেও দেশী গরু উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটানো সম্ভব হবে।