শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধি :বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে গাড়ির যন্ত্রাংশ,১৭টি ব্যাটারি ও ২ টি লোড জগসহ সুমন হোসেন(২০) নামের এক চোর কে আটক করেছে টার্মিনালের নিরাপত্তা প্রহরি।
গত মঙ্গলবার(২০শে আগস্ট) রাত আটটার দিকে সুমন নামের ওই চোরকে আটক করা হয়।
টার্মিনাল সংলগ্ন বাইপাস সড়কে অবস্থানরত ভারতীয় ৫টি গাড়ি থেকে সে ১৭টি গাড়ির ব্যাটারি এবং ২ টি লোড জগ চুরি করে।
যানজট নিরসনে কমিউনিটি পুলিশের নিরাপত্তা প্রহরীর প্রধান আকবর আলী সিকদার জানান , ঘটনার দিন রাত ৮ টার দিকে প্রহরীদের ডিউটি পরিবর্তনের সময় সুযোগ বুজে সুমন এই গুলো চুরি করে।
দাড়িয়ে থাকা লোড গাড়ি থেকে যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে এমন একটি সংবাদ আমাদের কাছে পৌঁছানোর সাথে সাথে আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে সুমনকে ধরে ফেলি ।
তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক বেনাপোল বাজারে ঝংকার মাইক সার্ভিস থেকে ২ ব্যাটারি, ২ টি লোড জগ, রহমত ইলেকট্রিক ওয়ার্কসপ থেকে ১ টি ব্যাটারি, এবং বেনাপোল মিলনের থেকে ২টি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয় । বাকি ১২টি ব্যাটারির সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি ।
স্বীকারোক্তির জন্য সুমনকে বন্দরের নিরাপত্তা বাহিনী আনসারদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেনাপোল বন্দরে চুরি রোধে ও নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বেনাপোল ট্রাক মালিক সমিতির উদ্যোগে “যানজট নিরসনে কমিউনিটি পুলিশ ” গঠন করা হয়েছে।
বন্দরে বাইপাস সড়ক গুলোতে আমদানি-রফতানীর পণ্য বোঝাই গাড়ী গুলোর নিরাপত্তার দায়-দায়িত্ব এই কমিউনিটি পুলিশেরা নিয়ে থাকে।
পণ্যবাহী গাড়ি থেকে যন্ত্রাংশ চুরির ব্যাপারে বেনাপোল ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী সাংবাদিকদের জানান, ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে যাতে করে কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য বেনাপোল ট্রাক মালিক সমিতি তাদের নিজস্ব উদ্যোগে এই কমিউনিটি পুলিশ গঠন করেছে।
যে কারণে বন্দরে চুরির ঘটনা নেই বললেই চলে।
এদিকে চুরির বিষয়ে সুমন নিরাপত্তা প্রহরীদের কাছে স্বীকার করেছে সে নিজেই এই চুরির ঘটনাটি ঘটিয়াছে ।
বন্দরে নিরাপত্তা বাহিনী (আনসার), এর প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, বাকি মালামাল উদ্ধারে চোর সুমনকে নিজেদের কাস্টডিতে রেখেছেন।