সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের উপর প্রধানমন্ত্রী বিরক্ত।বিলুপ্ত হতে পারে ছাত্রলীগের কমিটি

0
2
সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের কমিটি বিতর্কে ক্ষুব্ধ এবং বিরক্ত। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কে ছাত্রলীগের পুরো কমিটিই বাতিল করতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এমনকি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমও স্থগিত করতে পারেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক প্রধান। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়া হয়েছে। কমিটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কি কি অভিযোগ রয়েছে তারও ফিরিস্তি এখন প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে। এমনকি ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেও আছে তথ্য প্রমাণসহ একাধিক অভিযোগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বাদ শিক্ষার্থীরা ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির ৯৯ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছে। আবার যারা অভিযোগ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধেও রয়েছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ। সব দেখেশুনে প্রধানমন্ত্রী একটু হতাশই বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ছাত্রলীগ এবং ছাত্ররাজনীতি নিয়ে গত একদশক ধরেই নেতিবাচক মন্তব্য শুনে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কেউ কেউ তাকে ছাত্র রাজনীতি বন্ধেরও পরামর্শ দিয়েছিল। দলের ভেতরও অনেকে বলেছিল, ছাত্রলীগের জন্য সরকার এবং আওয়ামী লীগের বদনাম হচ্ছে। কিন্তু ছাত্রলীগ এবং ছাত্ররাজনীতির পক্ষে একমাত্র দৃঢ় অবস্থানে ছিলেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের যেসব নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগের সমালোচনা করতো, তাদের তীব্র ভাষায় তিরস্কার করতেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ সভাপতির ঘনিষ্ঠরা বলছেন, ছাত্রলীগ নিয়ে শেখ হাসিনার আলাদা আবেগ কাজ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ছাত্রলীগের মাধ্যমেই রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন শেখ হাসিনা। তাই সবসময়ই ছাত্রলীগের প্রতি তার আলাদা আবেগ এবং পক্ষপাত ছিল এবং আছে। কিন্তু এর মধ্যে ছাত্রলীগের বাড়াবাড়ি, কোন্দলে বিভক্ত হয়ে দুবার ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। একবার নিজেকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক প্রধানের দায়িত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ছাত্রলীগকে বিতর্ক ও কলংকমুক্ত করতে এবার ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজে। নানা রকম যাচাই, বাছাই এবং অনুসন্ধানের মাধ্যমে কমিটির শীর্ষ দুই পদ চুড়ান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এদের বিরুদ্ধেই যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি অভিযোগ পেয়েছেন এখন তিনি কষ্ট পেয়েছেন।

জানা গেছে, ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে সাম্প্রতিক কাদা ছোড়াছুড়ি যদি বন্ধ না হয় এবং শেষপর্যন্ত যদি কোন্দল বন্ধ না হয়, সেক্ষেত্রে হয়তো ছাত্রলীগের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, ছাত্রলীগে বিতর্কিতদের স্থান হবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here