বেড়েই চলেছে জীবনযাত্রার ব্যয়,ঋনের বেড়াজালে নাকাল সাধারন মানুষ

0
0
মনিরুজ্জামান মিল্টন, অভয়নগর, যশোর।
যত দিন যাচ্ছে ততই যেনো লাগাম হীন পাগলা ঘোড়ার মতই বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপন্যের মুল্য। অন্য- বস্ত্র -খাদ্য -বাসস্থান- শিক্ষা র মত মৌলিক অধিকারের ব্যয় ভার আজ আকাশ ছোঁায়া।
সারাদেশের ন্যায় যশোরের অভয়নগরেও তার ব্যতিক্রম নয়। শিল্প কলকারখানা , ঘাট সংশ্লিষ্ট শ্রমিক অধ্যুষিত এই এলাকায় খেটে খাওয়া মানুষগুলোর বসবাস। ভালো নেই তারা।দিন কে দিন যেনো অসম্ভব হয়ে পড়ছে সব কিছু। জীবন জাপনে নেমে আসছে অস্থিরতা।
 ভগ্যপন্যের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন বাজারে গিয়ে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা র সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ ক্রেতা সাধারন। আজ এক দাম তো কাল তার থেকে   বেশী। সংসারের সব পন্যর ব্যবহার কমাতে বাধ্য হচ্ছে, কিন্তু চাল !  চালের ব্যবহার!!সে-টা কমানোর উপায় কি !  আটা তার ও তো একই অবস্থা।
বাজার ঘুরে দেখা যায় এই ভরা মৌসুমে ও চালের দাম কেজিতে বাড়ছে সপ্তাহে ২-৩ টাকা, ফলে মাস শেষে বেড়ে দাড়াচ্ছে ৮-১০ টাকা।
তাছাড়া দাম বেড়েছে চাল, ডাল, আটা, ময়দা রসুন সহ প্রায় সব মুল্যের দাম। তেলের বাজার তো আগে থেকে বেড়াতে বাড়তে প্রতি লিটার ২০০ টাকা র কাছাকাছি এসে থামলো। মাছ মাংস, ডিম  এর বাজারেও আগুন।
খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা বাসস্থান প্রতিটা সেক্টরের ব্যয় বেড়েছে ৩০-থেকে ৪০ ভাগ।
ভালো নেই সাধারন নিন্মবিত্ত ও মধ্যম আয়ের মানুষ।  নিন্মবিত্ত মধ্যবিত্ত বিশেষ করে যারা নিদৃষ্ট আয়ের চাকুরীজীবি।  তাদের এখন বুক ফাটে  তবু মুখ মুখ ফাটে না,। বাজারে দীর্ঘ ক্ষন ঘুরে ঘুরে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে ভুগতে প্রয়োজনীয় পন্যের অর্ধেক ক্রয় করে বাড়ি ফিরছে।  সাংসারিক চাপে বাধ্য হয়ে ধার দেনা করছে নিকটজন অথবা কোনো সমিতির ক্ষুদ্র ঋনের দিকে।
আর সমাজের খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজ কি করবে কোথায় যাবে? কাকে বলবে?  সমাধান ও খুজে পাচ্ছে না।
ঘর ভাড়া,বিদ্যুৎ বিল,চিকিৎসা, সন্তানের লেখাপড়া, খাদ্য কোনটা মেটাবে আর কোনটা রাখবে,সেই দ্বিধা দন্দে দিশে হারা। বাধ্য হয়ে হয় ঘুর ভাড়া বাকী না হয় বিদ্যুৎ বিল বাকি রেখেই চলছে মাসের বাকি সময়। এক সময় বিদুৎ বিল, ঘর ভাড়ার চাপ আসছে -তখন বাধ্য হয়ে ধার দেনা র পথে হাটছে।  হয়তো কোনো সমিতির দারস্থ হচ্ছে। বাড়ছে দেনা। আরো কঠিন হয়ে পড়ছে জীবন মান।
রোগ ব্যধি, খরা, আর যুদ্ধের কারনে আজ সমস্ত পৃথিবীতে দেখা দিয়েছে আর্থিক অস্থিরতা।  কিন্তু যে পন্যটা বাইরের থেকে আমদানির উপর খুব একটা নির্ভর করে না সেটার মুল্য বৃদ্ধির কারন গুলো এখন অনেকেরই জানা। শুধু জানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে কিন্তু সমাধান কোথায়!  সেটা অজানায় থেকে যাচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here