ঝাং জিউফাং নামে এক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে ভারতের হাতে থাকা সুখোই ৩০ যুদ্ধবিমানের তুলনায় রাফাল অবশ্যই উন্নত প্রযুক্তির৷ কিন্তু আকাশে যুদ্ধের সময় কোনওভাবেই রাফাল চীনের ফোর্থ জেনারেশন জে ২০-র সামনে দাঁড়াতেই পারবে না৷
ভারতের প্রাক্তন বিমান বাহিনীর প্রধান বি এস ধানোয়া দাবি করেছিলেন, রাফাল আসায় ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তিতে আমূল পরিবর্তন আসবে৷ চীনের জে ২০ রাফালের ধারেপাশে আসেনা বলেও দাবি করেন তিনি৷ রাফালকে ৪.৫ জেনারেশনের যুদ্ধবিমান বলেও দাবি করেছিলেন ধানোয়া৷ ভারতের প্রাক্তন বিমান বাহিনীর প্রধানের এই দাবি খারিজ করে পাল্টা চীনা মুখপত্র রাফালকে তৃতীয় প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বলে কটাক্ষ করা হয়েছে৷৭০০০ নয়, ফ্রান্স থেকে ৮৫০০ কিলোমিটার পেরিয়ে ফ্রান্স থেকে ভারতের আম্বালা এয়ারবেসে পৌঁছেছে যদিও ভারতের প্রাক্তন বিমান বাহিনীর প্রধান এখনও নিজের বক্তব্যেই অনড়৷ নিজেদের দাবি প্রমাণ করতে চীনকে পাল্টা দু’টি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ধানোয়া৷
তিনি প্রশ্ন করেন, জে ২০ যদি সত্যিই চীনা দাবি অনুযায়ী ফিফথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান হয়, তাহলে কেন এই যুদ্ধবিমানগুলোতে কানার্ড থাকে?
ধানোয়ার দাবি, আমেরিকার জে ২২, রাশিয়ার এসইউ ৫৭-এর মতো প্রকৃত পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানগুলোতে কানার্ড থাকে না৷ বিমানের নিয়ন্ত্রণ উন্নত করার লক্ষ্যে মূল দু’টি ডানার সামনে যে ছোট ডানাগুলি থাকে, সেগুলোকেই কানার্ড বলা হয়৷ ধানোয়ার দাবি এই ধরনের কানার্ড বিমানে থাকলে তা সহজে প্রতিপক্ষের রাডারে ধরা পড়ে যায়৷
প্রাক্তন বিমান বাহিনীর প্রধানের আরও প্রশ্ন, চীনের জে ২০ যুদ্ধবিমানগুলোতে কেন ‘সুপারক্রজিং’-এর সুবিধা নেই? যে যু্দ্ধবিমানগুলো আফটারবার্নারের বা অতিরিক্ত জ্বালানি না পুড়িয়েই মাখ ১ বা শব্দের থেকেও বেশি গতিবেগ তুলতে সক্ষম, সেগুলোকে এই গোত্রে ফেলা হয়৷ ধানোয়ার দাবি, রাফালে এই সুবিধা রয়েছে এবং ফ্রান্সে তৈরি এই যুদ্ধবিমানগুলোর রাডারও অন্যতম সেরা৷
সূত্র: নিউজ এইট্টিন