ইকবাল হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লায় ৫ দফা দাবিতে কুমিল্লার লালমাই অবস্থিত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের বাড়িতে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিড়ি শ্রমিকরা আগামী বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানো, বিড়ির উপর অর্পিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেখে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স না দেওয়া, কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষকে আইনী প্রক্রিয়ায় নকল বিড়ি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া ও বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক ও মালিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরি সদস্য আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙ্গালী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুরসহ বিড়ি শ্রমিকরা।অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দেশের প্রান্তিক শ্রমিকদের বড় একটি অংশ বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, শারীরিক বিকলঙ্গ, বিধবাসহ অসংখ্য শ্রমিকের পরিবারের রুটি-রুজি নির্ভর করে বিড়ি শিল্পের উপর। স্বাধীনতার পর এদেশের সাধারণ মানুষ ও অসহায় শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিড়ি শিল্পকে শুল্কমুক্ত ঘোষণা করেন। শ্রমবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯-২০১০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় বিড়িতে শুল্ক কমিয়ে সিগারেটে শুল্ক বৃদ্ধির নির্দেশনা দেন। কিন্তু ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানী এদেশের কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ আমলাকে ব্যবহার করে বিড়ির উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা। ফলে করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে বিড়ি মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। কারখানা বন্ধ হওয়ায় কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ছে বিড়ি শ্রমিকরা। অন্য কাজ না পেয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।”
বক্তরা আরো বলেন, বিড়ি শিল্প দেশীয় শ্রমিকবান্ধব শিল্প। বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প। এতে ব্যবহৃত সকল কাঁচামাল দেশেই উৎপাদিত। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর ষড়যন্ত্রে বৈষম্যমূলকভাবে এ শিল্প ধ্বংস করা হচ্ছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। আমরা এষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দেশীয় শিল্প বন্ধের ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে তীব্র আেেন্দালনে যেতে বাধ্য হবো। একই সাথে পার্শবর্তী দেশ ভারতের মতো বিড়ি মালিক ও শ্রমিকদের কল্যাণে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করার জোর দাবি জানান শ্রমিকরা।
মানববন্ধন শেষে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন বিড়ি শ্রমিকরা।
বক্তরা আরো বলেন, বিড়ি শিল্প দেশীয় শ্রমিকবান্ধব শিল্প। বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প। এতে ব্যবহৃত সকল কাঁচামাল দেশেই উৎপাদিত। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর ষড়যন্ত্রে বৈষম্যমূলকভাবে এ শিল্প ধ্বংস করা হচ্ছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। আমরা এষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দেশীয় শিল্প বন্ধের ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে তীব্র আেেন্দালনে যেতে বাধ্য হবো। একই সাথে পার্শবর্তী দেশ ভারতের মতো বিড়ি মালিক ও শ্রমিকদের কল্যাণে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করার জোর দাবি জানান শ্রমিকরা।
মানববন্ধন শেষে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন বিড়ি শ্রমিকরা।