বোর্ড কর্মকর্তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই দল থেকে বাদ পড়ছে ক্রিকেটাররা

0
0

ডা. শাহরিয়ার আহমেদঃ ফেসবুকে বোর্ড কর্মকর্তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে শাস্তি পেলেন পেসার মেহেদি হাসান রানা। সম্প্রতি জাতীয় দলে সুযোগ না পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছিলেন রানা। যেটি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পোস্টটিতে জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার পেছনে নির্বাচকদের দায়ী করেন রানা

এটাকে অপরাধের তালিকায় নিয়ে এবার তাকে এক মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করায় মেহেদি রানাকে এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর তিনি বিসিবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন এবং নিজের দোষ স্বীকার করে নেন। যেহেতু তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন, সেহেতু তাকে এক মাসের নিষেধজ্ঞার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আগামী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) তিনি খেলতে পারবেন।

রানা তার ওই ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘কিছুদিন আগের কথা; আমি ক্রিকেট বোর্ডের একজন নির্বাচককে ফোন করেছিলাম অন্য কিছু জানার জন্য। উনি আমাকে ফোন করে বললেন, বাংলাদেশ ‘এ’ দলে যোগ দিতে। আগামীকাল থেকে অনুশীলন শুরু হবে। তার পরদিন দেখলাম যে প্র্যাকটিস শুরু হয়ে গেল, কিন্তু আমি নাই! আমি তো ওনাকে ফোন দিতেই পারি। ওনাকে ফোন করলাম। কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ বার ফোন করেছি, ধরে নাই। তারপর আমি মেসেজ দিলাম। মেসেজ সিন করে রিপ্লাই দেয়নি। ….আসলেই যোগ্য মানুষগুলো যদি যোগ্য জায়গায় না থাকে, তাহলে ক্রিকেট কোনো দিন উন্নতি করবে না। ‘

সেই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে ২৫ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার দাবি করেন, তিনি নিজে ওই পোস্ট দেননি। তার ভেরিফায়েড পেইজের এডমিনকে বলেছিলেন, জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার হতাশা নিয়ে কিছু লিখতে। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, কোনোভাবেই বোর্ডকে আক্রমণ করা যাবে না। মেহেদি রানার বক্তব্য, তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন অতি উৎসাহী হয়ে নির্বাচকদের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here