সমাজের কণ্ঠ ডেস্ক – রাজধানীর হাজারীবাগ, লালবাগ, ইসলামবাগ, কোতোয়ালি, চকবাজার, কামরাঙ্গীর চর, বংশাল, শ্যামপুর ও কদমতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় অলিগলিতে কেমিক্যালের শত শত কারখানা ও গুদাম রয়েছে। এগুলো অগ্নিকাণ্ডের মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, পুরান ঢাকায় রয়েছে ২৫ হাজার কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থের গুদাম। এসবের মধ্যে ১৫ হাজার আছে খোদ বাসাবাড়িতেই। মাত্র আড়াই হাজার গুদামকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে সিটি করপোরেশন। বাকি ২২ হাজারের বেশি গুদামই অবৈধ। ২০০ ধরনের ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিকের ব্যবসা রয়েছে এলাকাজুড়ে।
অবৈধ কারখানার মধ্যে রয়েছে নকল ওষুধ, ব্যাটারি তৈরি, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক সরঞ্জাম, জুতা-স্যান্ডেল, নকল বৈদ্যুতিক কেবল, খেলনা ও শতাধিক পণ্য তৈরির কারখানা। এসব পণ্য উৎপাদনে বেশির ভাগ কারখানায় ব্যবহার করা হয় দাহ্য কেমিক্যাল। বিশেষ করে জুতা তৈরির ফ্যাক্টরিতে যে সলিউশন ব্যবহার করা হয়, সেগুলো খুবই বিপজ্জনক বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা।
গতকাল রাজধানীর মিটফোর্ড, ইসলামবাগ ও লালবাগ এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, কেমিক্যালের দোকানগুলো বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও ঈদের ছুটিতে এখন দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে। মিটফোর্ড এলাকার এক ওষুধ বিক্রেতা কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁরা সারাক্ষণ আগুনের ভয়ে থাকেন। মিটফোর্ড এলাকায় যে পরিমাণ কেমিক্যালের দোকান ও গুদাম তাতে যদি আগুন লাগে তাহলে মিটফোর্ড হাসপাতাল পর্যন্ত রক্ষা পাবে না। তাঁর দাবি আর দেরি না করে পুরান ঢাকা থেকে সব কেমিক্যালের গুদাম বা দোকান সরানো হোক।