ডা. শাহরিয়ার আহমেদঃ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে মুক্তিপ্রাপ্ত তিনটি সিনেমার মধ্যে প্রথম সপ্তাহেই বাজিমাত করেছে অনন্ত জলিলের ‘দিন দ্য ডে’ ছবিটি। বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসায় ভাসছে ছবিটি। ইতোমধ্যে ছবিটি ভারতের বলিউড ইন্ড্রাস্ট্রিতেও প্রশংসিত হয়েছে। সে সাথে বলিউড কুশলীদের ইনস্টাগ্রাম পোষ্টে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চে বাজেটের ছবি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। মুক্তির শুরুর দিন থেকেই দেশের ১১৫টি পর্দায় প্রদর্শিত হয়ে আসা ছবিটি হলে প্রতিদিনই থাকছে হাউজফুল। যার কারণে দর্শকদের চাপে ইতোমধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ এর প্রদর্শনী সংখ্যা বাড়িয়েছেন। শনিবার যমুনা ব্লকবাস্টারে ভারতীয় নাগরিকদের একটি দল ছবিটি দেখতে আসেন। ছবি দেখার পর তারা বেশ প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের এ যাবত কালের সবচাইতে বড়ো বাজেটের এই ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা অনন্ত জলিল এবং চিত্রনায়িকা বর্ষা। বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি পরিচালনা করেছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। ছবিটির প্রচারণায় অনন্ত বর্ষা যেখানেই যাচ্ছেন ভক্তদের ভালোবসায় শিক্ত হচ্ছেন তারা। অনন্ত বর্ষার এমন প্রচেষ্টা কতিপয় চলচ্চিত্র কর্মীরা প্রশংসার বদলে তাদের নিয়ে সমালোচনায় মেতেছেন। তবে চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা বলছেন অনন্তের এমন প্রচেষ্টা চলচ্চিত্রে আশার আলো দেখিয়েছে।
হল মালিকদের সংগঠন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির একজন নেতা জানান, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ছবিটি দর্শক প্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। ছবিটির প্রতিটি শো হাউজফুল থাকছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, অনন্ত খুব পরিশ্রম করছে। চলচিত্র শিল্প ঘুরে দাড়াতে তার পরিশ্রম অবশ্যই বড়ো অবদান রাখবে।
অন্যদিকে সিনেমার প্রচারে হলে হলে গিয়ে অনন্ত জলিলের প্রচেষ্টা চলচ্চিত্রের জন্য ইতিবাচক মন্তব্য করে লেখক ও চলচ্চিত্র সমালোচক অনুপম হায়াত নয়া দিগন্তকে বলেন, এক সময় ছিলো যখন দেয়ালে পোষ্টার দেখে মানুষ সিনেমা দেখতো। নতুন সিনেমা মুক্তির পর বিজ্ঞাপন প্রচার হতো। এগুলো দেখে, শুনে দর্শক হলে যেতো। কিন্তু এখন যুগের পরিবর্তনে সব বদলেছে। তাই সিনেমার প্রচারনার ধরণও বদলেছে। তিনি বলেন, অনন্ত পরিশ্রমি একজন মানুষ। দর্শক ফেরাতে হলে হলে গিয়ে ছবির এমন প্রচারণা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তাতে একদিন চলচ্চিত্র শিল্পে সুদিন ফিরবে।