ডুমুরিয়ার শ্রেষ্ঠ তরমুজ চাষী প্রতাপ চন্দ্র মন্ডল

0
0
রাশিদুজ্জামান সরদার, ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি:
ডুমুরিয়ায়‌ বাম্পার ফলনের  ২২বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করে ২৫লক্ষ টাকা বিক্রি করেন ডুমুরিয়ার কৃষক প্রতাপ  চন্দ্র মন্ডল।
ডুমুরিয়ায়‌ বাম্পার ফলনের তরমুজের আশার আলো দেখছে কৃষকরা।
খুলনার‌ ডুমুরিয়ায়‌ অধিকাংশ মানুষের ভাবনা তরমুজ নিয়ে। বীজ রোপণের মুহূর্তে ২ দফায় বেশ বৃষ্টিপাত হওয়ায় তরমুজ চাষিরা রিতীমত ভেংগে পড়েছিল। সকলের মনে বদ্ধধারনা জন্মে যে এ বছর অন্তত লাভজনক ব্যবসা তরমুজ করা সম্ভব হবে না। তারপর ডুমুরিয়া উপজেলার  বরাতিয়া,শোভনা,কুলবাড়িয়া,শরাফপুরসহ ১৪টি  ইউনিয়ন গোটা ডুমুরিয়ায়  সমগ্র এলাকার কৃষক, কৃষাণীরা দিনরাত একমাস যাবত মাঠে পড়ে থেকে কষ্ট করে তরমুজের বীজ রোপণ শেষ করে এখন সার দিয়ে চারার বাঁধার কাজ চালাচ্ছে, চারায়া পানি দেওয়ারও কাজ চলছে।
নিজ সন্তানের চেয়েও তরমুজের চারার লালন ক্ষেতে ফুল ফল দেখা দেওয়ায় কৃষকরা গত বছরের পালন চলছে। কারণ আর কয়েকদিন সব ঠিকঠাক মত আশায় বুক বাধছে যে তারা প্রতি বিঘায় কমপক্ষে শঙ্কাও রয়েছে যদি আবার হঠাৎ বৃষ্টিপাত হয় তাহলে একটু আগেভাগে যারা তুলতে পারবে তারা বিঘাপ্রতি কোটি কোটি টাকার হওয়া ফসল পাওয়া যাবে। গতবছর শুধু দাকোপের মত একটি উপজেলায় ১২০০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছিল। আর ঠিক ঠাক
মত চালিয়ে যেতে পারলে মাঝ রমজানের সময় লাখ টাকা লাভ করবে। তবু মনের ভিতর সব সময় তরমুজের ক্ষেত্র থেকে তরমুজ ভোলা শুরু করা য বিক্রি করবে দেড় লাখ থেকে ১ লাখ ৭০/৮০ হাজার টাকায়। গাছ বেশ দ্রুত বেড়ে উঠায় কারো কারো
ডুমুরিয়ার তরমুজ দেশ সেরা তরমুজ নামে খ্যাত বিদেশেও ডুমুরিয়ার‌ তরমুজ রপ্তানি হয়। খুব স্বাদের এ তরমুজের চাহিদা অনেক বেশি। তাইতো দেশের অনেক জেলা থেকে ব্যবসায়ী আগেভাগে ক্ষেত্র বুক করতে ডুমুরিয়ায়  আনাগোনা শুরু করে দিয়েছে। পাশের উপজেলা ডুমুরিয়ায়‌ও গত ‌৩/৪ বছর এ চাষ শুরু হয়েছে আর এবার বটিয়াঘাটার অধিকাংশ এ‌্লাকায় চাষের আওতায় এসেছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেল।
চলতি বছরের ডুমুরিয়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন খুলনা জেলা ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের বাড়ই কাটি গ্রামের পরিতোষ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে প্রতাপ চন্দ্র মন্ডল, সে জানায় ‌ ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শ আমি ২২বিঘা  জমিতে তরমুজের চাষ করে ‌ভালো ফলন‌ পেয়ে ৮লক্ষ টাকা খরচ করে‌২৫ লক্ষ টাকা বিক্রি করে আমি আনন্দিত।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন জানান প্রথমদিকে চাষের শুরুতে বার বার বৃষ্টি হওয়ায় চিন্তা করেছিলাম এবার তরমুজ চাষের জন্য পরিবেশ অনুকূল হবে না, তবে এখন আশার আলো দেখছে কৃষকরা। এবারও গত বছরের মত বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। দিনরাত মাঠে থেকে পরামর্শ দিয়ে চলেছি। দূরে থাকলে অনলাইনে পরামর্শ ‌ সেই প্রথম থেকেই দিয়ে আসছি। গতবছর ডুমুরিয়ায়   কোটি কোটি  টাকার তরমুজ কেনাবেচা হয়েছিল শুধু খুলনার ডুমুরিয়ায় তরমুজের চাহিদা অনেক বেশি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here