রাশিদুজ্জামান সরদার, ডুমুরিয়া খু্লনা প্রতিনিধিঃ
এক খিলি পান খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ৩০-৪০ মিনিট। আমাকে আগে দেন তাড়া আছে, আবার অনেকে ধৈর্য হারিয়ে চলেও যান। এখানে এক খিলি পান বিক্রির তালিকায় রয়েছে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা, সর্বনিম্ন ৫ টাকা পর্যন্ত।
দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে সৌখিন ক্রেতারা কিনছেন নবাব পান, জমিদার পান, নাটোরের বনলতা পান, আয়ুর্বেদিক পান, বিয়াই-বিয়ান পান, শালি-দুলাভাই পান, হাসি-খুশি পান, নতুন বাবুর হাতের পান, ভালোবাসার পান, বন্ধু-বান্ধবীর পান, জনতার পান, খয়ের জর্দ্দা, আবার কেউবা কিনছেন মিষ্টি পান।
এমনটি দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় খুলনার ঐতিহ্যবাহী ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডারপাড়া জোড়া বকুলতলার সামনে সুমনের পানের দোকানে। তিনি ১৫ বছর ধরে খিলি পানের ব্যবসা করে আসছেন। হরেকরকম জর্দ্দা ও মসলা দিয়ে তৈরি করেন বিভিন্ন স্বাদের পান। বাহারি এ পান খেতে দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসে সুমন কুন্ডুর দোকানে।
পান বিক্রেতা সুমন কুন্ডু জানান, অভাব অনটনসহ অর্থনৈতিক ব্যাপক অসচ্ছলতায় তাকে বাধ্য করেছে পান বিক্রি করতে। বড় ধরনের ব্যবসা করতে মোটা অঙ্কের পুঁজির প্রয়োজন। তার সাধ থাকলেও সাধ্যের বাইরে ছিল সে স্বপ্ন।