২০১৫ সালে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে বিশ্বের পরাশক্তির দেশগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি করে ইরান। ওই চুক্তি অনুযায়ী, দেশটি তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি সীমিত রাখবে, যা পারমাণবিক চুল্লির জ্বালানি হিসাবে যেমন ব্যবহার করা হয়, তেমনি অস্ত্র তৈরিতেও ব্যবহৃত হতে পারে। এর বদলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
তবে গত বছর ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
এই পদক্ষেপের কারণে বিপর্যয়ে পড়ে ইরানের অর্থনীতি, যা মূলত দেশটির তেল বিক্রির ওপর নির্ভরশীল। ফলে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে ইরান।
এরই অংশ হিসাবে সোমবার ইরান ঘোষণা দিয়েছে যে, ২৭শে জুন নাগাদ তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের পরিমাণ চুক্তি সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তবে ইরান বলছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ইরানকে রক্ষা করতে এখনো ইউরোপীয় দেশগুলোর হাতে ‘যথেষ্ট সময়’ আছে। এদিকে বিষয়টিকে ‘পারমাণবিক চাঁদাবাজি’ বলে বর্ণনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।