আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
২১ জুন ২০১৯ – ইরানের সামরিক বাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার বলেছেন, তারা মার্কিন নৌবাহিনীর একটি সামরিক বিমান ভূপাতিত করতে পারতো। যুক্তরাষ্ট্রের ওই বিমানটিতে দেশটির নৌবাহিনীর ৩৫ জন সদস্য ছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করতে তারা শুধু মার্কিন গুপ্তচর ড্রোনটিকেই ভূপাতিত করেছে।ইরানের ওই কমান্ডারের নাম আলী হাজিজাদেহ। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগের ওই কমান্ডার শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভূপাতিত করা মার্কিন ওই ড্রোনের সঙ্গে সেখানে মার্কিন নৌবাহিনীর ৩৫ সদস্যসহ পি-৮ নামের একটি সামরিক বিমানও ছিল।’তিনি আরও জানান, ‘মার্কিন ওই বিমানটিও আমাদের আকাশসীমা অতিক্রম করেছিল। আমরা সেটাকে ভূপাতিত করতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেটা করিনি, কারণ আমরা আমেরিকান ড্রোন ভূপাতিত করে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’কে হুঁশিয়ার করতে চেয়েছি মাত্র।’গত বৃহস্পতিবার ইরান যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর ড্রোন ভূপাতিত করার পর সেই ওয়াশিংটন-তেহরানের উত্তেজনা যুদ্ধাবস্থা তৈরি করেছে। ইরান দাবি করছে মার্কিন ওই গুপ্তচর ড্রোন ইরানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ায় তারা সেটি ভূপাতিত করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ড্রোনটি ছিল আন্তর্জাতিক আকাশসীমায়।নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার জবাবে ইরানে হামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে অবশ্য তিনি তার মত পাল্টান। ইরানও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র হামলা করে তাহলে সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত আছে তেহরান।