আজ ২৪শে মে শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮ মে রাত আনুমানিক ৩টায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা রাস্তার মোড় নামক স্থানে মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. রায়হানুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ডা. আদনান ইব্রাহিম এবং সদস্য রেদোয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবার তীব্র নিন্দা জানাই।
হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহাগ সাইফুল্লাহ এবং জেলা উপ-পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক এইচ.এম মেজবাহ উদ্দীনকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
এদিকে, ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত মেডিকেল অফিসার ডা. আদনান ইব্রাহীমের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। শুরুতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তারপর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এর আগে হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে তাকে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত সেহেরির পর চায়ের দোকানে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ডা. রায়হানের ওপর হামলা করে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ।
ঘটনার পর ডা. আদনান ইব্রাহীমকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ডা. রায়হানুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ কর্মী রেদোয়ান। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার অনুসারীরা তাদের ওপরও আক্রমণ চালায়। এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে ডা. আদনান ইব্রাহীমকে আঘাত করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।