হাসান চৌধুরীঃ নবীগঞ্জ প্রতিনিধি – নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল মোকামপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজন কর্তৃক এক অসহায় মহিলার বসতঘর ভাংচুর ও গাছপালা বিনষ্ট করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও আসামীরা বহাল তবিয়তে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়ে বাদীপক্ষকে হুমকি-দামকি দিচ্ছেন বলেন জানান অভিযোগকারী আজিজা বেগম। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতার মুখে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় ভাংচুরকৃত নিজের বসত ঘর ছেড়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোপলার বাজার তদন্তকেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল মুকামপাড়া গ্রামের মৃত আফছর আলীর চার কন্য সন্ত্রান রয়েছে। তার কোনো পুত্র সন্তান নেই। যার কারণে আফছর আলী মারা যাওয়ার পূর্বে বসতভিটায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ২য় কন্যা আজিজা বেগমকে স্বামীসহ নিয়ে আসেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাসকালে আজিজা পিতা মাতার যাবতীয় দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে প্রায় দুই বছর পূর্বে আফছার আলী মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর গ্রামের মুরব্বিয়ান ও জনপ্রতিনিধিগণ চার কন্যার মাঝে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করে দেন। এদিকে আজিজা বেগম তার ছোট-দুই বোনকে পাড়া প্রতিবেশীর সহযোগীতায় বিয়ে দিয়ে পিতার ভিটায় স্বামী সন্তান ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। প্রায় বছর খানেক ধরে আজিজার বড় বোন ও তার স্বামী মাহবুবুর রহমান এই বাড়িতে স্বত্ব পাওনা আছে বলে উৎপাত শুরু করেন। এ অবস্থায় পাঞ্চায়েত এর মুরব্বিয়ান আবারো বসে সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করে দেন। কিন্তু মাহবুবুর রহমান সালিশের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও গত বুধবার বসত ঘরে হামলা চালিয়ে টিনের বেড়া ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। এসময় হামলাকারীরা বাড়িতে পলানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও ফলফলাদির গাছ কেটে ফেলে এবং আজিজা বেগম ও তার স্বামী ফুল মিয়াকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। এঘটনায় আজিজা বেগম বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে গোপলার বাজার তদন্তকেন্দ্রের এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।