মোঃ হাসান চৌধুরী নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা বাতাসের কারনে তীব্র শীতে নবীগঞ্জের পাহাড়ী এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে জনজীবনে স্থবিরতা বিরাজ করছে।সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ হাড়কাপা শীতের কারনে ঘরে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন।বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ।এছাড়া শীত মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে রাতে হালকা শীত,দিনে গরম,সকালে ঘাসের উপর জমে থাকা শিশির কণা জানান দিয়েছিল শীত আসছে।অন্যবারের তুলনায় এবার এখানে শীত এসেছে আগে। বেজায় খুশি লেপ-তোষক প্রস্তুতকারী ধুনকাররা।শীত মৌসুমের শুরুতেই নবীগঞ্জ উপজেলার ধুনকরদের এখন সুদিন।তারা লেপ-তোষক তৈরীর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।লেপ-তোষক দোকানের মালিক ও শ্রমিকদের খাওয়া দাওয়ার কোন সময় নেই। সেলাইয়ের কাজে,তুলা ধুনতে ব্যস্ত মালিক শ্রমিকরা।শীত মৌসুমের শুরুতেই ক্রেতারা লেপ-তোষকের দোকানে আগে থেকে পছন্দমত লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার দিয়ে বায়না করছেন।শীত মোকাবিলায় অনেকেই ভিড় করছেন লেপ তোষকের দোকানে।ধুনকররা এবার ভালো মুনাফার জন্য বেশি বিক্রী করার আশায় দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।কিছু দিন ধরে শীতল বাতাসের সাথে রাতে একটু একটু শীতের হাওয়ায় ধুনকরদের এখন ঘুম নেই।শীত পড়ায় এখন রাতে কাঁথা কম্বল নিয়ে ঘুমাতে হয়।শীত ঠেকাতে লেপ-তোষক,কাঁথা-কম্বল হলো মানুষের ভরসা।আবার ছিন্নমুল মানুষের জন্য শীত হলো অভিশাপ।যারা ওই শীতের কবল থেকে নিজেদের বাচিঁয়ে রাখতে ঐ সব শীত বস্ত্র ক্রয় করার ক্ষমতা নেই।তাদের দূর্ভোগের সীমা নেই।জানাযায়, নবীগঞ্জ সদর সহ ছোট বড় হাট-বাজারে জাজিম,বালিশ,লেপ-তোষক তৈরি বিক্রীর কাজে শতাধিক ধুনকর রয়েছে।তারা জানান, শীত মৌসুমে লেপ-তোষক তৈরি ও বিক্রী হয় বেশী।তাছাড়া বছরের অন্যান্য দিনে বিয়ে সাদি হলে বিক্রী হয়।বিক্রির জন্য তৈরি করে রাখি।বাজার ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাসাধারণ লেপ-তোষক তৈরির জন্য দোকান গুলোতে ভিড় করছেন।এ জন্য ধুনকর ব্যবসায়ীরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।তবে শীতের সাথে লড়াই করে ছিন্নমূল মানুষেরা তাদের জীবন-জিবীকা রক্ষা করতে প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছেন।আবার কেউ কেউ হাড়কাপা শীতের কারনে ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস করছেন না। এসব শীর্তাথ দারিদ্র মানুষদের জন্য সরকারী ভাবে শীত বস্ত্র কম্বল দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।ইতিমধ্যে দু’একটি সামাজিক সংগঠন আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে এসে যৎ সামান্য শীত বস্ত্র দারিদ্রদেও মাঝে বিতরণ করেছেন।এছাড়া শীতের তীব্রতায় পুরান কাপড়ের দোকানেও ভীড় জমাচ্ছেন ছিন্নমুল মানুষজন।