সমাজের কন্ঠ আন্তর্জাতিক ডেস্ক – রাহুল গান্ধীর পদত্যাগপত্র প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেস ওয়ার্র্কিং কমিটি। ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি প্রধান বিরোধী দল রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস। এজন্য নির্বাচনে দলের ব্যর্থতার দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।আজ ২৫শে মে শনিবার কংগ্রেস পার্টির এক জরুরী বৈঠকে পদত্যাগের কথা জানান রাহুল। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেস। এই নির্বাচনে ৩০৩ টি আসন পেয়েছে বিজেপি এবং ৫১টি আসন পেয়েছে তাদের শরিক দলগুলো।
৫৪২ আসনের লোকসভার নির্বাচনে একক দল হিসেবে বিজেপি একাই ৩০৩টি আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গীরা ৫১ এবং প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পেয়েছে ৫২টি আসন।
কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধী, তার মা সোনিয়া গান্ধী, বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, ওয়ার্কিং কমিটির ওই বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি কী করতে যাচ্ছে তা নিয়ে আগে থেকেই জল্পনা শুরু হয়।
রাহুল পদত্যাগ করতে পারেন এমন কথা শুনেই দলের নবীন নেতারা দিল্লিতে আসতে শুরু করেন। দলের নেতারা কর্মীরা চান না যে, রাহুল কোনোভাবেই পদত্যাগ করুন।
দলে শীর্ষ পদের প্রত্যাশী যে কেউ নেই, তা নয়। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, সভাপতির ইস্তফার প্রসঙ্গ ভিত্তিহীন ও অপ্রাসঙ্গিক। এটা আমরা কখনওই মানব না। রাহুল গান্ধীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও লড়াকু মেজাজের কারণেই এনডিএ-কে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল কংগ্রেস। অপর একটি টুইটে রাহুলের নেতৃত্বকে ‘দৃষ্টান্তমূলক’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
অনিল শাস্ত্রীর মন্তব্য, রাহুল গান্ধীর ইস্তফা দেওয়া কোনও কাজের কথা নয়। ইস্তফা দেওয়া মানে দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাওয়া। বরং এই পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়াই করে যেতে হবে।
প্রবীণ নেতাদের অনেকেই মনে করছেন, নিজের আশপাশে রাহুল যাদের রেখেছেন, তারাই ভুল পরামর্শ দিয়েছেন। এসব ভুল নিয়ে নতুন চিন্তাভাবনা করে এগোতে হবে।