ডা. শাহরিয়ার আহমেদঃ আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট তথা আইএসের উৎপত্তি কীভাবে, সেটি নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক জল্পনা-কল্পনা আছে। আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির অতীত পরিচয় এবং তার তথাকথিত খিলাফত ঘোষণার প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়েও গবেষকদের মধ্যে বিভিন্ন বিতর্ক আছে। বাগদাদির প্রকৃত নাম শিমন এলিয়ট, সে আসলে মোসাদ এজেন্ট, মার্কিন সিনেটর জন ম্যাককেইনের সাথে তার গোপন বৈঠক হয়েছিল- এ জাতীয় বিভিন্ন তথ্যও ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইটে পাওয়া যায়। এ তথ্যগুলো অবশ্য সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং ভুয়া প্রচারণা; কিন্তু এগুলো মিথ্যা হলেও আইএসের সৃষ্টির পেছনে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রহস্যজনক ভূমিকা ছিল এবং বাগদাদির আইএসের নেতা হয়ে ওঠার পেছনেও যে আমেরিকার অবদান ছিল, সেটি মোটেও মিথ্যা নয়।
২০০৪ সালে বাগদাদি ১০ মাস ইরাকে মার্কিন বাহিনীর পরিচালিত কারাগার ক্যাম্প বুকায় বন্দী ছিলেন। শুধু বাগদাদি না, আইএসের সর্বোচ্চ পর্যায়ের অন্তত ৯ জন নেতাই (মতান্তরে ১৮ জন) কোনো না কোনো সময় এই কারাগারে বন্দী ছিল। অনেক গবেষকের মতে, আইএসের সৃষ্টির পেছনে মার্কিন সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত এই ক্যাম্প বুকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এক সময়ের ক্যাম্প বুকার বন্দী এবং পরবর্তীতে আইএসের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আবু আহমেদের বক্তব্য অনুযায়ী,
“যদি ইরাকে কোনো মার্কিন কারাগার না থাকত, তাহলে এখন আইএসের কোনো অস্তিত্বই থাকত না। বুকা ছিল একটি কারখানা। এটি আমাদেরকে তৈরি করেছে। এটি আমাদের আদর্শ গড়ে তুলেছে।”
– সংগৃহীত ও সংযোজিত (রোয়ার)