নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলার বুক চিরে প্রবাহমান এক সময়ের বেত্রাবতী নদীটি বাগআঁচড়া শংকরপুর ফেরী ঘাট সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ দখলদারের কারনে ধীরে ধীরে স্রোতহীন মরা নদীতে পরিনত হয়েছে।ময়লার স্তুুপ জমে থমকে গেথে চলার গতিপথ। এলাকার পরিবেশ হয়ে উঠেছে দূষন ও বিষাক্তময়।
পাশাপাশি ক্রমেই ছোট হয়ে যাওয়া বেত্রাবতী
নদীতে ঐ দু বাজারের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ এবং ময়লা আবর্জনা সহ স্থানীয় ক্লিনিক গুলির প্রানঘাতী রক্ত পুজ সম্বলিত সিরিঞ্জ ও স্থানীয় মাংস বিক্রেতাদের পশু জবাইয়ের বর্জ্যসহ অন্যান্য ময়লা আবর্জনা সরাসরি ও পাইপ লাগিয়ে বাধাহীন ভাবে ফেলে আবর্জনার স্তুুপ করে ময়লা ফেলার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে।বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে নদীটির গতিপথ।ফলে প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্যে বিষাক্ত হচ্ছে জমে থাকা পানি। এলাকার পরিবেশ ও আকাশ বাতাস দূষিত হয়ে উঠেছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, নদী দখল ও দূষনমুক্ত করনের জন্য সরকারের কঠোর আইন আছে।নদীর অবৈধ দখল, পানি ও পরিবেশ দূষণ, শিল্প কারখানা কর্তৃক সৃষ্ট নদী দূষণ, অবৈধ কাঠামো নির্মাণ ও নানাবিধ অনিয়ম রোধকল্পে এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধার, নদীর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ এবং নৌ-পরিবহনযোগ্য হিসাবে গড়ে তোলাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়োজনে একটি কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইনও হয়েছে।
যেহেতু নদীর অবৈধ দখল, পরিবেশ দূষণ, শিল্প কারখানা কর্তৃক সৃষ্ট নদী দূষণ, অবৈধ কাঠামো নির্মাণ ও নানাবিধ অনিয়ম রোধকল্পে এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধার, নদীর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ এবং নৌ-পরিবহনযোগ্য হিসাবে গড়িয়া তোলাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়োজন। সেহেতু আইনও কঠোর ভাবে মানা জরুরি বলে জানা যায়।
বেত্রাবতী নদীর তীরবর্তী পাড়ের স্থানীয়রা জানান,এখান থেকে প্রায় ত্রিশ বছর আগের কথা। শার্শা ও ঝিকরগাছার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া এই বেত্রাবতী নদী ছাড়া তেমন কোন ছিল না কোন যাতায়াত ব্যবস্হা। দূর দূরান্ত থেকে নৌকা ট্রলার জাহাজ নিয়ে আসতো তাদের ব্যবসায়িক কাজ কর্ম করার জন্য।
একদা এ নদীতে এক সময় জোয়ার ভাটার পাশাপাশি পাওয়া যেত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।যেসব মাছ ধরে অনেক জেলে পরিবার তাদের সংসারের স্বচ্ছলতার পর আয়ের উৎস হতো।গোসল সহ পানি ব্যবহার হতো সেচকাজ ও সাংসারিক নানা প্রয়োজনীয় কাজ।কিন্তু এখন এ ফেরীঘাট সংলগ্ন নদী এলাকয় এখন বিষাক্তময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।এখন গোসল সহ কোন কিছুই করা যায় না নদীর পানি দিয়ে।বরং ময়লা নোংরা বিষাক্ত ময় পরিবেশের কারনে ঐ এলাকা দিয়ে মানুষের চলতে নাকমুখ চেপেই চলতে হয়।
নদীটির নাব্যতা ফিরিয়ে এনে সঠিক তদারকি করে বেত্রাবতীর আগের রুপ যৌবন ফিরিয়ে দিয়ে এলাকার মানুষের ব্যবহার উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু জরুরী কার্যকারী ব্যবস্হা গ্রহনের দাবী এলাকার সচেতন ও ভুক্ত ভোগী মহলের।