চৌগাছা প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছার সাড়ে চার বছরের শিশু মিনু খাতুন বাঁচতে চাই। যে বয়সে তার খেলাধুলা আর ছোটাছুটির মধ্য দিয়ে দিন শেষ হওয়ার কথা, সেই বয়সে অবুঝ এই শিশুটি কখনও ¯েœহময়ী মায়ের কোলে বা বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। সরকার কিংবা সমাজের কোন বৃত্তবান যদি শিশুটির চিকিৎসায় সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে সে সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারে। তাই শিশুটিকে সুস্থ্য করে তুলতে অসহায় পিতা মাতা সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন।
উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের দিনমজুর মনিরুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে মিনু খাতুন। সাড়ে চার বছর বয়সে সে হার্টের ছিদ্র রোগে ভুগছে। শিশু মিনু খাতুন ভুমিষ্ট হওয়ার দেড় বছর পর তার শরীরে এই জটিল রোগ সনাক্ত হয়। এরপর মা আকালিমা খাতুন ও পিতা মনিরুল ইসলাম বহু ডাক্তার কবিরাজের কাছে মিনুকে নিয়ে গেছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই মিনু সুস্থ্য হয়ে উঠেনি। সম্প্রতি তারা মিনু খাতুনকে নিয়ে যান যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জয়ন্ত কুমার পোদ্দারের নিকট। নানা পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে চিকিৎসক তাদেরকে বলেন, এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা অপারেশন করা। অপারেশন করতে পারলে মিনু খাতুন সুস্থ্য উঠবে, ব্যয় হবে প্রায় ৪ লাখ টাকা।
চিকিৎসকের পরামর্শ শেষে একবুক হতাশা নিয়ে বাড়িতে ফেরেন অসহায় পিতা মাতা। কোথায় পাবে এত টাকা, কে দাঁড়াবে অবুঝ শিশু মিনুর পাশে এই দুঃশ্চিন্তার মধ্যেই তাদের দিন যায় রাত আসে। এরই মধ্যে মিনু খাতুন বেশ অসুস্থ্য বোধ করে। প্রিয় সন্তানকে নিয়ে পিতা মাতা ছুটে আসেন চৌগাছা পল্লবী ক্লিনিকের ডাক্তার মিজানুর রহমানের কাছে। তিনি রোগীর বর্তমান পরিস্থিতি দেখে এবং স্বজনদের কথা শুনে সংবাদ দেন গনমাধ্যম কর্মীদের। তাৎক্ষনিক পল্লবী ক্লিনিকে ছুটে যান স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মী। শিশু মিনু খাতুনের পিতা মনিরুল ইসলাম বলেন, তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে। পাঁচ শতক জমির উপর তার বসবাস, এই জমিটুকু ছাড়া আর কোন কিছুই নেই। রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে থেকে দিনে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে তার চার সদস্যের সংসার। মেয়ে মিনুর বয়স যখন দেড় বছর তখন তার হার্টের ছিদ্র ধরা পড়ে। কিন্তু অর্থ অভাবে তাকে সে ভাবে চিকিৎসা করতে পারেনি। এখন তার বয়স যত বাড়ছে ততই সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। ডাক্তার বলেছে মিনুকে সুস্থ্য করে তুলতে হলে অপারেশন করতে হবে, খরচ হবে প্রায় চার লাখ টাকা। এই টাকা জোগাড় করা তার পক্ষে কোন ক্রমেই সম্ভব না। তাই শিশু মিনু খাতুনকে সুস্থ্য করে তুলতে তার অসহায় পিতা মাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়সহ সমাজের বৃত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। যোগাযোগের ঠিকানা মোবাইল নং ০১৭১৯২৬৬৫৫৭।