চৌগাছা প্রতিনিধি – চৌগাছার পল্লীতে এক ব্যবসায়ীর সাড়ে তিন বিঘা জমির আম গাছা কেটে সাবাড় করে দিয়েছে
দূর্বৃত্তরা। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের মাঠে দূর্বৃত্তরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ঠ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। স্থানিয় সূত্রে জানা যায়, গত তিন বছর ধরে ওই মাঠে বিভিন্ন কৃষকের ফসল একই ভাবে কেটে সাবাড় করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র এমনটিই জানালেন এলাকাবাসি।
ভুুক্তভোগী যশোর দড়াটনার ফাতেমা অপটিক্যালের মালিক জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক ইকবাল জানান, প্রায় তিন বছর পূর্বে গ্রামে সাড়ে তিন বিঘা জমিতে রুপালী জাতের আমের চারা রোপন করেন। সমুদয় জমিতে প্রায় দেড়শ আম গাছ রোপন করা হয়। প্রতিটি গাছে আসন্ন আম মৌসুমে মুকুল আসার উপযুক্ত হয়ে গেছে। এমন এক পরিস্থিতিতে বুধবার রাত ৯ টার পর হতে কোন এক সময় দূর্বৃত্তরা আম বাগানে ঢুকে সমুদয় গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। আম গাছের সাথে তাদের কিসের শত্রæতা তা তিনি নিজেও বুঝে উঠতে পারছনে না। আম গাছ লাগানোর আগে
একই জমিতে তিনি থাই পেয়ারার চাষ করেন। প্রতিটি পেয়ারা গাছে ফুল আসা শুরু হয়। ঠিক সেই মুহুর্তে প্রায় ১ হাজার পেয়ারার চারা কে বা কারা কেটে সাবাড় করে দেয়। পরবর্তীতে পেয়ারার চাষ বাদ দিয়ে তিনি আম চাষ করেন। কিন্তু পেয়ারর মত আমেরও একই পরিনতি হল। পেয়ারা ও আম চাষ করতে যেয়ে তিনি প্রায় ৫ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন বলে জানান।ফারুক ইকবাল জানান, যশোর শহরে থাকার সুবাদে তিনি এক ব্যক্তিকে
মাসিক বেতন চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন। মুলত আম বাগান ওই ব্যক্তিই পরিচর্জা করেন। বৃহস্পতিবার সকালে কর্মচারী গোলাম রব্বানীর মাধ্যমে বাগান মালিক ফারুক ইকবাল এই ঘটনা জানতে পারেন। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ঠ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম বলেন, গত তিন বছর ধরে
একটি কুচক্রি মহল মাঠের বিভিন্ন ফসল ও গাছ কেটে সাবাড় করার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। কিন্তু ওই চক্র বরাবরই ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তিনি বলেন,২০১৮ সালে তার সাড়ে ৩ বিঘা জমির লিচু গাছ কেটে দেয় দূর্বৃত্তরা।একই সালে গ্রামের রফি উদ্দিনের দেড় বিঘা জমির আম গাছ কেটে ফেলা হয়। একই ভাবে গ্রামের তবিবুর রহমানের ৩ বিঘা জমির আম গাছ, মতিউর
রহমানের সাড়ে ৩ বিঘা জমির আম গাছ দৃর্বৃত্তা কেটে সাবাড় করে দেয়। গাছ কাটা পার্টির কবলে পড়ে গ্রামের কৃষকরা বলাচলে অসহায় হয়ে পড়েছেন। ওই চক্রের ভয়ে চাষিরা আতংকে রয়েছেন। সংঘবদ্ধ গাছ কাটা চক্রকে আইনের মুখোমুখি করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসি।