নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধিঃ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসবে যশোরে প্রায় ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গোলাপ ফুল বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকার। গোলাপ ফুল প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ১৫-১৬ টাকায়। যা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দাম পেয়েছে চাষিরা।
এবার ২১ ফেব্রুয়ারির বাজার ধরতে চাষিরা পরিকল্পনা শুরু করেছেন। ওই দিন আরও ৪০ কোটি টাকার ফুলের বিকিকিনি করতে পারবেন বলে আশা করছেন চাষিরা।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ারস সোসাইটির সভাপতি ও গদখালি ফুল চাষি কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, সারাবছর টুকটাক ফুল বিক্রি হলেও মূলত ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন দিবসকে সামনে রেখেই চাষিরা ফুল চাষ করে থাকেন। এবার ফুলের দাম বাড়ার কারণে গত তিন দিনে প্রায় ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গোলাপ ফুল বিক্রি হয়েছে অন্তত ১৮ কোটি টাকার। প্রতিপিস গোলাপের দাম পাওয়া গেছে ১৫-১৬ টাকায়।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ফুলের আবাদ হয়েছিল ৬৩২ হেক্টর, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬৩৩ হেক্টর এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবাদ হয়েছিল ৬৩৬ হেক্টর জমিতে।
চলতি বছরেও একই পরিমাণ জমিতে ফুলের আবাদ হয়েছে। ফুল উৎপাদন হয়ে থাকে গড়ে ৫৮ কোটি ৮৩ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৫ পিস। হেক্টর প্রতি ফুল উৎপাদন হয়ে থাকে ৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৮ পিস। আর গোলাপ ফুল উৎপাদন হয় ৪ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৬ পিস।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিসের উপপরিচালক এমদাদ হোসেন জানান, জেলায় ৬৩২ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ফুলের আবাদ করা হয়েছে। দেশে ফুলের মোট চাহিদার প্রায় ৬০ ভাগই যশোরের গদখালী থেকে সরবরাহ করা হয়।