সেই রাস্তার কিছু অংশ দখল করে প্রতিবেশী-মৃত তারিক সরদারের ছেলে ফজলুর
রহমান একটি পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করে। তিনি এর প্রতিবাদ করাতে ফজলুর
রহমান ও তার ছেলে হোসেন আলী, আজগর আলী, নাজমুল হোসেন ও আলাউদ্দীন দলবদ্ধ
হয়ে ২৬ফেব্রæয়ারী সকাল ৮টার দিকে তার উপর ঝাপিয়ে পড়েন। এসময় তারা
রাজমিস্ত্রী আনছার আলী সরদারকে ধরে কিল, চড় ও ঘুষি মেরে নিলাফোলা জখম
করে। তিনি আরো জানান-ওই রাস্তা দিয়ে ১০/১২টি পরিবার নিয়মিত ভাবে মসজিদ সহ
বাড়ীতে চলাচল করেন। কিন্তু ফজলুর রহমান কারোর কোন কথা না শুনে সরকারী
রাস্তা দখল করে বসত ঘর নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে অভিযুক্ত
ফজলুর রহমান বলেন-তিনি আরেক পাশ থেকে কিছু অংশ জমি ছেড়ে দিয়েছেন। তাদের
বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে।
কলারোয়ায় বীর নিবাস নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ।। মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্চিত
কলারোয়া(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বীর নিবাস নির্মাণে
অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদ করাতে ঠিকাদার কর্তৃক এক বীর
মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্চিত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, কলারোয়া উপজেলার ৫নং কেড়াগাছি
ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে। এঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা
জিয়াদ আলী জানান-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কর্তৃক অসচ্ছল
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন র্নিমাণ প্রকল্পে কলারোয়া উপজেলায় ১২জন
বীর মুক্তিযোদ্ধার বীর নিবাস নির্মানের জন্য ঘর বরাদ্দ পান। এর মধ্যে
তিনি তালিকায় ১নম্বরে রয়েছেন। তার ঘর নির্মানের শুরুতেই অনিয়ম করে ওই
কাজের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জিয়া। ৩ নম্বর ইট দিয়ে ঘরের গাথনি শুরু করলে
তিনি প্রতিবাদ করেন। এসময় ঠিকাদার জিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা
জিয়াদ আলীকে অকথ্য ভাষায় কথা বলে লাঞ্চিত করে। তিনি আরো বলেন-ঠিকাদার
জিয়া ঘরের মধ্যে মাটি ফেলে ভারাট করতে বলেন। এই কাজ না করলে তারা ঘর
নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি প্রদান করে। এসব অনিয়মের বিষয় নিয়ে
বুধবার তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু ও স্থানীয়
সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ জানালে বৃহস্পতিবার ভোরে তার বাড়ীতে ট্রলি
পাঠিয়ে ৩নম্বর ইট গুলি ঠিকাদার জিয়া তুলে নিয়ে যায়। এসময় সে বলে যায় যে,
সব মুক্তিযোদ্ধা ঘর নির্মাণ হয়ে যাওয়ার পরে জিয়াদ আলীর ঘর নির্মাণ হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলী আরো বলেন-১৩লাখ ৬৫ হাজার টাকা ব্যায়ে তার ঘর
নির্মাণ হচ্ছে। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম ও পাশ্ববর্তী
ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা অজেদ আলী বলেন-তারা জিয়াদ আলীর কথা শুনে ঘটনা
স্থানে গিয়ে ২/৩ নম্বর ইট দেখতে পান। তার এই অনিয়মের প্রতিবাদ জানান।
অভিযুক্ত ঠিকাদার জিয়া বলেন-তিনি নিয়মমাফিক ঘর নির্মানের কাজ করছেন।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলী অযাথা ঠিকাদারকে দোষারোপ করছেন। এবিষয়ে উপজেলা
নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার বরাদ্দকৃত বীর নিবাস নির্মাণে কোন অনিয়ম হতে পারে না। অভিযোগ
পেলে তাৎক্ষনিক ভাবে তদন্ত করে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও এই কাজের
সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আমজাদ হোসেনকে কলারোয়া উপজেলা শ্রমিকলীগের শুভেচ্ছা
কলারোয়া(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জেলা পরিষদ সদস্য
আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেনের সাথে উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের নবগঠিত আহবায়ক
কমিটির নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য ও কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ.সভাপতি
আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেনের নিজস্ব কার্যালয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়
করেন কলারোয়া উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের নব গঠিত আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের আহবায়ক আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে জেলা পরিষদ
সদস্য ও কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ.সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেনকে
ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে উপস্থিত ছিলে-যুগ্ম-আহবায়ক
শেখ শহিদুজ্জামান মিঠু, শেখ শহীদ আলী, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবির বাবলু,
সদস্য লিয়াকত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, কাজী মুক্তা, সন্দীপ রায়, মাগফুর
রহমান, আলী হোসেন, কবিরুল ইসলাম, মন্টু ইসলাম, বাবলু সরদার, লাল্টু,
মুরাদ হাসান জনি, সন্তষ কুমার প্রমুখ। এসময় শেখ আমজাদ হোসেন শ্রমিকলীগ
নেতৃবৃন্দকে মিষ্টিমুখ করান।
কলারোয়ায় তিন বছর পর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণায় আনন্দ মিছিল
কলারোয়া(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: প্রায় তিন বছর পর কলারোয়া উপজেলা
ছাত্রলীগের ৬সদস্যে বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। (২৫ফেব্রয়ারী)
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-এসএম আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক-সুমন
হোসেন স্বাক্ষরিত ছাত্রলীগ জেলা শাখা’র প্যাডে উল্লেখিত ঐ ৬জন
নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করা হয়। এরা হলেন-সভাপতি শামিমুজ্জামান টিপু ও
সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ফাহিম। ৬সদস্যের নতুন এ কমিটিতে আরও যারা
দায়িত্ব পেলেন তারা হলেন-সহ.সভাপতি-আল-মামুন শাওন, যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক-ইমরান কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক-দিপু রায় ও আল মামুন মুন্না। আগামী
১বছরের জন্য তারা এই পদে বহাল থাকবেন। উল্লেখ্য-২০১৯ সালের ৮ফেব্রæয়ারী
সর্বশেষ শেখ সাগর হোসেনকে সভাপতি, মেহেদি হাসান নাইসকে সাধারণ সম্পাদক ও
শামিমুজ্জামান টিপুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ছাত্রলীগের কলারোয়া উপজেলা
৩সদস্যের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ঘোষণার ৩মাসের মাথায় ঐ বছরের
১৮মে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জিএম তুষারের ওপর
হামলার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সভাপতি শেখ সাগর হােসেন ও সম্পাদক মেহেদি
হাসান নাইস নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আংশিক কমিটি বিলুপ্ত ঘােষণা করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হয় বলে
জানান সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা। নতুন কমিটিতে
সভাপতি পদের দায়িত্ব পাওয়ায় শামীমুজ্জামান টিপু বলেন, মাধ্যমিক স্কুল
থেকে ছাত্র আন্দোলন এবং আওয়ামী রাজনীতি’র প্রতিটি কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ
করে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে তৃণমূল মানুষের সুখ দুঃখে পাশে থেকে
ভ