কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি:কলারোয়ার সেই বিতর্কিত উদ্ভিত সংরক্ষণ
কর্মকর্তা জিয়াউল হককে ডিমোশন করা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় প্রশাসান তাকে
শাস্তিমূলক ভাবে খুলনার কয়রায় বদলী করেছেন। খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ফরিদুল হাসান গত
৯মার্চ-২৩তারিখে-২০২২৫৩০স্মারকে এ আদেশ জারী করেন। তিনি ওই স্মারকে
বলেন-কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ
কর্মকর্তা মো: জিয়াউল হককে খুলনার কয়রা উৃপজেলা কৃষি অফিস এ উপ-সহকারী
কৃষি কর্মকতা হিসেবে বদলী করা হয়েছে। আগামী ১৪মার্চ ইং তারিখের মধ্যে
বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হয়ে বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে।
অন্যথায় আগামী ১৫তারিখে পূর্বাহ্নে বর্তমান কর্মস্থল হতে তাৎক্ষণিক
অবমুক্ত ইস্টার্ন রিলিজ বলে গন্য হবেন। এ আদেশ প্রশাসনিক কারনে জারী করা
হলো। উল্লেখ্য-কলারোয়া উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার ও কীটনাশক বিক্রেতাগণ
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষে সরকারি বরাদ্ধকৃত রাসায়নিক
সার যথাসময়ে উত্তোলন পূর্বক সার বিতরণের নীতিমালা অনুসরণ করে সরকারি
নির্ধারিত মূল্যে চাষীদের মধ্যে বণ্ঠন করে আসছেন। কিন্তু ১জানুয়ারী ২০২২
তরিখে কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসে উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক
যোগদান করেই উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের ভয় ভীতি
প্রদান করে আসছেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের দোকানে যেয়ে ম্যাজেস্ট্রিসি আচরণ
সহ উনাকে স্যার বলে সম্মোধন করতে বাধ্য এবং অশালীন আচরণ করেন। তিনি কৃষি
অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়াই বিসিআইসি সার ডিলারদের দোকানে
যেয়ে পাকা দোকান ঘর ভেঙ্গে নতুন করে দোকানঘর করার নির্দেশ দেন। অন্যথায়
সার্বিক বিষয়ে তাকে ম্যানেজ করার প্রস্তাব দেন। যা কলারোয়ায় কেহ এমন
ধরনের প্রস্তাব কখনও করেননি। ওই অভিযোগে আরো বলা হয়-কলারোয়া উপজেলা কৃষি
অফিসে উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে
ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম এর কাছ থেকে ৩.৩০০টাকা, আব্দুল্লাহর কাছ থেকে ৫০০০
টাকা, আজাহারুল ইসলামের কাছ থেকে ২.৫০০টাকা ও আবদুর রশিদ এর কাছ থেকে
১২০০শত টাকা নিয়েছে। এনিয়ে সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে
বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান ব্যসায়ীরা। এর পরে খুলনার অতিরিক্ত
পরিচালকের দপ্তরে অভিযোগের কথা জানতে পেরে জিয়াউল হক উপজেলার কীটনাশক
ডিলার রফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কীটনাশক ডিলারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা
কাগজে স্বাক্ষর করে নিচ্ছেন। এমনকি বলা হচ্ছে অল্প টাকা নেয়া হয়েছে সেটা
বলার জন্য। অন্যথায় লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি দিচ্ছে। নিয়ে বিভিন্ন পত্র
পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ হয়। পরে খুলনা কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তর এর
অতিরিক্ত পরিচালক এর নির্দেশে গত ১২ডিসেম্বর-২২তারিখে
১২.১৭.০১০০.০৩৯.২৭.০৫৬.২২.১১৪২ নং স্মারক মোতাবেক ৩সদস্য বিশিষ্ট একটি
তদন্ত টিম সরেজমিনে কলারোয়ায় দিনভর প্রকাশ্যে তদন্ত করেন। সেখানে উপজেলার
বিসিআইসি সার ডিলার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীরা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ
কর্মকর্তা জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন। পরে তদন্ত কমিটি ঘটনার
সতত্যা পেয়ে ১৫ডিসেম্বর-২২তারিখে কলারোয়া কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ
কর্মকর্তা জিয়াউল হক এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কিছু কিছু বিষয়ের প্রমান
পেয়েছে মর্মে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই অভিযোগ পেয়ে কৃষি
সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ফরিদুল ইসলাম গত ২জানুয়ারি-২০২৩
তারিখে কলারোয়া কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হকের
বিরুদ্ধে কৃষি সস্প্রাসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ঢাকা, উপ-পরিচালক
খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ডিএই জেলা প্রশিক্ষণ উপ-পরিচালকের কার্যালয়
বাগেরহাট, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) উপ-পরিচালকের কার্যালয় ডিইএ
খুলনা, উপজেলা কৃষি অফিসার সাতক্ষীরা সদর, উপজেলা কৃষি অফিসার কলারোয়ায়
অবগতি ও প্রয়োজনীয় (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য
১.২.১৬.৪৭০০.০৩৯.১৮.০১৭.২২.০৭.১(৬) নং স্মারকে অনুলিপি প্রেরণ করেছেন। এর
পরেও অভিযুক্ত কলারোয়া কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক
বহাল তবিয়তে কাজ করে যাচ্ছিলেন। এঘটনায় খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
শাস্তিমূলক ভাবে জিয়াউল হককে ডিমোশন খুলনার কয়রায় বদলী করেছেন।