তরিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা ব্যুরো:সাতক্ষীরার কলারোয়ার কৃতি সন্তান আব্দুল গফুর গাজী পল্লী উন্নয়নে সফল নেতৃত্ব প্রদান করায় স্বীকৃতি স্বরুপ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন পদক-১৪’ লাভকরেছেন। স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও
সমবায় বিভাগের বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কতৃক ওই পল্লী উন্নয়ন পদক ও
সম্মাননা পত্র প্রদান করা হয়। সম্প্রতি(৩১ অক্টোবর-২১’) শনিবার সকাল
১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায়
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও
সমবায় মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব
মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পল্লী
উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক সুপ্রিয় কুমার কুন্ডুসহ দপ্তরের কর্মকর্তা ও
সূধিবৃন্দ। উল্লেখ্য, জাতীয় পল্লী উন্নয়নে সফল নেতৃত্বে স্বর্ন
পদকপ্রাপ্ত কলারোয়ার কৃতি সন্তান আব্দুল গফুর গাজী কেরালকাতা ইউনিয়নের
বহুড়া গ্রামের সমাজ সেবক আব্বাজ গাজী ও গৃহিনী ফতেমা খাতুনের সন্তান।
তিনি দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দীর্ঘ ২৫ বছর কলারোয়া কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির
সফল সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন কওে আসছেন। দায়িত্বকালে বিভিন্ন মেয়াদে
তিনি সমবায় সমিতিতে ৩০ লাখ ৫২ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ ও মহিলা সমবায় সমিতিতে
ঋণ হিসাবে ২০ লাখ টাকা বিতরণ করে ঋণের সম্পূর্ন অর্থ পরিশোধ করেছেন। এ
ছাড়া অসংখ্য গভীর নলকুপ, অগভীর নলকুপ, পাওয়ার পাম ঋণের মাধ্যমে কৃষকদের
মাঝে বিতরণ করে ফসল উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন। তার
সফল নেতৃত্বের ফলে কলারোয়া ইউসিসিএ লিমিটেড একটি স্বনির্ভর ইউসিসিএ
হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এদিকে ধর্মীয়-সামাজিক উন্নয়নে অগ্রনী ভূমিকা ও
বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালনসহ সার্বিক মূল্যায়নে তিনি বাংলাদেশের মধ্যে ১ম
স্থান (পুরষ্কারের শ্রেণি-১০) অধিকার করায় জাতীয় পল্লী উন্নয়ন পদকে-১৪’
ভূষিত হয়েছেন। অনুরুপভাবে তিনি ১৯৮৮ সালে সাতক্ষীরা জেলার শ্রেষ্ঠ সমবায়ী
হিসাবে পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানা যায়্। কলারোয়ার কৃতি সন্তান
আব্দুল গফুর গাজী জাতীয় পল্লী উন্নয়ন পদক-১৪’ লাভ করায় উপজেলা বিআরডিবি
অফিস, সিংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি, বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের
পক্ষ থেকে ও জনপ্রতিনিধিগণ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন।