নাজিম উদ্দিন জনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ার পল্লীতে আদালতে নালিশী সম্পত্তির দখল বিষয়ে মামলা হলেও রায় হওয়ার আগেই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে পাকা দালান নির্মানের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার ভূমিদস্যু শাহজাহান গংয়ের বিরুদ্ধে।
ভূমিদস্যু শাহজাহান কলারোয়ার ইলিশপুর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে।
সাতক্ষীরা বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্মারক ১৫৯২ ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারা মতে শার্শার বাগআঁচড়ার গ্রামের মৃত নওশের আলী পুত্র মোঃ সোহরাব হোসেন প্রতিকার চেয়ে একটি মামলা করেন। যার নং পি ১০৯৭/১৯।যা বিচারাধীন।
আদলতে মামলার নালিশী বিবরণে জানা যায় সাতক্ষীরা জেলার ইলিশপুর মৌজায় খতিয়ান নং ৩৪৭ ও ১৪৮৬দাগ হাল ১৯৮০ দাগে পিতার ওয়ারেশ সূত্র ৪৭শতক জমি সোহরাব হোসেনের পিতা নওশের আলী নামে রেকর্ড হইয়া ফাইনালি পাবলিষ্ট হয়েছে। তার অংশের জমিতে আপোষ মোতাবেক নালিশী সাবেক ১৪৮৬ হাল ১৯৮০ দাগে ১.৬১একর জমির মধ্যে ৪৭ শতক জমিতে ভোগ দখলীকার থাকা কালে পুত্র সোহরাব হোসেন, শহিদুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, কবিরুল ইসলাম, আব্দুর ছাত্তার, কন্যা রহিমা খাতুন, রেহানা খাতুন, রাশিদা খাতুন ও স্ত্রী নবীছন বিবিকে ওয়ারেশ উত্তরাধিকার রাখিয়া মৃত্যু বরণ করেন।
ওয়ারেশ গন উক্ত সাবেক ১৪৮৬হাল ১৯৮০ দাগে ৪৭ শতক জমি প্রাপ্ত হইয়া সরকারি খাজনাদি প্রদান করিয়া ২৪ শতক জমিতে ফলবান মূল্যবান বক্ষাদি লাগাইয়া ও বাকি ২৩শতক জমিতে মৌসুমী সবজি চাষাবাদের মাধ্যমে ভোগদখল করিয়া আসিতেছে।
এমতাবস্থায় ভূমিদস্যু দখলবাজ মৃত লুৎফর রহমানের পুত্র বিবাদী শাহজাহান গং মৃত নওশের আলী ওয়ারেশ গনের ভোগদখলী সম্পত্তিতে বেড়া ও প্রাচির ভাঙিয়া ইট বালু খোয়া সিমেন্ট আনিয়া সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। ১ম পক্ষ
সোহরাব হোসেন ঘটনা স্থলে গিয়ে বাঁধা দিলে ২য় পক্ষ শাহজাহান গং দা, লাঠি, শাবল ও লোহার রড দিয়ে খুন জখম করার উদ্যত হয়। সে সময় স্বাক্ষীদের হস্তক্ষেপে সে যাত্রায় খুন জখমের হাত থেকে রেহায় পান ।
সেসময় তখন শাহজাহান গং হুংকার দিয়ে বলেন গায়ের জোরে তোদের জমি দখল করে পাকা দালান নির্মাণ করবো এবং কেও বাঁধা দিতে আসলে খুন করিয়া মাটিতে পুঁতে রাখবো বলে হুংকার দেয়।ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সোহরাব হোসেন।
এমতাবস্থায় ১ম পক্ষ মোঃ সোহবার হোসেন আদালতে শরণাপন্ন হয়ে শাহজাহান গংয়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারা মতে প্রতিকার চেয়ে মামলা দায়ের করেন। যার নং১০৯৭/১৯।
বিজ্ঞ আদালত সে সময় স্মারক ১৫৯২, তারিখ -০১/০৯/২০১৯. ফৌজদারি বিষয়টি কলারোয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বাদীর নালিশী আদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।
এদিকে সোহরাব হোসেন কোন সমাধান না পেয়ে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত কলারোয়া সাতক্ষীরায় শাহজাহান আলী গংকে বিবাদী করে দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের অর্ডার ৩৯ রুল১/২ ও ১৫১ ধারায় বিধান মতে বিবাদী শাহজাহান গং পক্ষ যাহাতে নালিশী ভূমি (২৩ শতক) ভূমি হতে বেদখল করে জোর পূর্বক পাকা ঘর বাড়ি নির্মান না করতে পারে সেজন্য বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ দান করতঃ মোকদ্দমায় সুবিচার প্রার্থনা জানান সোহরাব হোসেন। যার নং ১৪/২০।
সম্প্রতি সরজমিনে গেলে দেখা যায়, বাদী সোহরাব হোসেনের আদালতে নালিশীকৃত সম্পত্তি ২৩ শতক জমির পরে পাকা ঘর নির্মান করিতেছে। এসময় সাংবাদিকরা বিবাদী শাহজাহান গং এর কাছে ঘর নির্মানের আদালতে রায়ের কপি দেখতে চাইলে দেখাতে পারিনি।
এদিকে সোহরাব হোসেন সরজমিন তদন্ত পূর্রক উক্ত ২৩শতক জমি নিজ দখলে ফিরে পেতে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।