কলারোয়ায় সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস এর ড্রাইভারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

0
0

কলারোয়া প্রতিনিধিঃ: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ও সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস এর ড্রাইভার শেখ মোতালেব হোসেন ওরফে খোকন (৫৫) কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনা স্থান থেকে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া বিভিন্ন অস্ত্র পাতি উদ্ধার করেছে। আহত ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের মৃত আয়নুদ্দিনের ছেলে। আহত ড্রাইভারকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। থানা দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৯নং উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসী ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি শেখ মোতালেব হোসেন ওরফে খোকন ড্রাইভারের ওই ওয়ার্ডে ডিসিআর কাটা জমিতে কিছু আম গাছ লাগানো রয়েছে। সেই গাছ থেকে ৬ ক্যার্টে (আমরুপালি) আম ভেঙ্গে নেয় একই গ্রামের মৃত রহিম গাজীর ছেলে ওবায়দুল্লাহ। এনিয়ে ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি শেখ মোতালেব হোসেন ওরফে খোকন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রাজ্জাকের চায়ের দোকানে বসে কয়েকজনের সাথে কথা বলছিলো। এমন অবস্থায় নাঈম, ওবায়দুল্লাহ, আসাদুল্লাহ আল গালিব সংঘবদ্ধ ভাবে লোহার রড, কোপা দিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে মাথায়, পিঠে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তারা মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় পা চাপা দিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পাশ^বর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে ওই ড্রাইভারকে ফেলে তারা পালিয়ে যায়। এর আগে ওই ড্রাইভারের কাছে থাকা ৯হাজার ২শত টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। এঘটনায় আহত ড্রাইভাবের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার বিকালে ৩জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে অভিযুক্ত ওবায়দুল্লাহ’র খোজ করে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। গয়ড়ায় সরকারি গণচৌচাগারের জায়গা দখলের চেষ্টাপ্রতিবাদ করায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগকলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: কলারোয়ার গয়ড়া বাজারের সরকারি গণচৌচাগারের জায়গা দখল করতে না পারায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নামে থানায় ৫০হাজার টাকার চাঁদাবাজীর অভিযোগ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকালে চন্দনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ডালিম হোসেন ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল লতিফ মিঠু জানান, চন্দনপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম অবৈধ ভাবে সরকারি গণচৌচাগারের জায়গা দখল করে পাকা ছাদের দোকান নির্মানের চেষ্টা করে। স্থানীয় গ্রামবাসী প্রতিবাদের মুখে উপজেলা প্রশাসন দোকান নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মনির নেতৃত্বে তারা গোপনে ওই দোকান নির্মানের কাজ চালিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর কাছে এলাকাবাসী অভিযোগ দিলে তিনি সরেজমিনে ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ঘটনা স্থানে গিয়ে দেখেন গণ চৌচাগারের জায়গা দখল করে পাকা দুইটি দোকান ঘর নির্মাণ করছেন মদনপুরের মফিজুল ইসলাম ও গয়ড়ার কবিরুল ইসলাম। এসময় সংবাদ পেয়ে চন্দনপুরের নায়েব মারুফুর রহমান ঘটনা স্থানে আসেন এবং তিনি নিজ হাতে ওই দোকান ঘরের দুইটি বাশ খুলে ফেলেন। এসময় নায়েব বলেন, অবৈধ স্থাপনাকারীর বিরুদ্ধে মামলা হবে। এদিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর হস্তক্ষেপে অবৈধ স্থাপনা বন্ধ হওয়ায় এলাকাবাসী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এঘটনা নিয়ে পাকা দোকান ঘর করতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবু মিস্ত্রীকে দিয়ে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দেয় তারা। এছাড়া মদনপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবীর অভিযোগ তুলে হয়রানী মুলক একটি অভিযোগ দিয়েছে। এঘটনায় ওই এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় হামলা সংঘর্ষ সৃষ্টি হতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারনা করছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here