ফিরোজ জোয়ার্দ্দার-ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক দিনের ব্যবধানে এবার ৪ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে ব্যাথা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বেডে। ১৪ বছরের কিশোরের দ্বারাই ধর্ষণের শিকার হওয়া নির্যাতিত শিশুর যৌনাঙ্গ অস্বাভাবিক হয়ে পড়ায় এ কান্ড ঘটে। ডাক্তারী পরীক্ষায় ভিকটিম শিশুর শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেলে তৎক্ষনিক থানা পুলিশের নারী এসআই শারমিন সুলতানা শিখা ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক কিশোরকে কুশোডাঙ্গা এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় ভিকটিম শিশুর মা মর্জিনা খাতুন (৩০) বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা নং (৩০) ২৫/ ৬/১৯ দায়ের করেন আর আটক ধর্ষক কিশোরকে মঙ্গলবার দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। একের পর এক শিশু ধর্ষণ ঘটনার খবর শুনে আতংকে অবিভাবক পরিবার। তাদের দাবী ধর্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি না হওয়ায় রীতিমত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলছে সমাজে। আতংকে মেয়েরা স্কুলে যেতে চাই না নির্যাতিত হওয়ার ভয়ে কখন জানি নেমে আসে কার উপর এমন পাশবিক নির্যাতন। এ ব্যাপারে পুলিশের কঠোর ভূমিকা থাকলেও সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে দায়ী করেন অবিভাবকরা। থানা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কুশোডাঙ্গা গ্রামের মিঠু গাজীর চার বছরের স্কুল পড়ুয়া শিশু কন্যা রহিমা (ছদ্মনাম) মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পারিকুপি প্রাইমারী স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে বাড়ি ফিরে আসার পথে ধর্ষক কিশোর একই গ্রামের প্রতিবেশী ইবাদুল গাজীর ছেলে মোস্তাকিন (১৪) দশ টাকার খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক হাত-পা ধরে বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়িতে কেহ না থাকার সুযোগে ধর্ষক মোস্তাকিন শিশুকে উলঙ্গ অবস্থায় ধর্ষণ করে যৌনাঙ্গ অস্বাভাবিক করে দেয়। শিশুটি ব্যাথায় চিৎকার দিতে দিতে অচেতন হয়ে পড়লে খবর পেয়ে তার মা মর্জিনা খাতুন মেয়েকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে সাধারণ চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে খবর পেয়ে থানা পুলিশ সেখানে হাজির হয়ে যায়। পুলিশের কাছে শিশু ও তার মা মর্জিনা খাতুন পাশবিক নির্যাতনের বিবরণ দিতে থাকলে পুলিশ আলামত সংগ্রহে শিশুকে ডাক্তারী পরীক্ষা জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ধর্ষণের প্রমান সংগ্রহ করে পরবর্তীতে মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ধর্ষক মোস্তাকিনকে আসামী করে জেল হাজতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। আর ভিকটিম শিশুকে আদালত হেফাজতে রাখা হয়েছে।