মোঃ আজিজুল হক
প্রতিনিধি কুড়িগ্রামঃ
ভারী বর্ষন ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশক্ষকা দেখা দিয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ধরলার তীরের নিম্মঞ্চলের ভুটা, পাট ও বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে ডুবে গেছে। ধরলার পানি বাড়ার ফলে কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ীর বড়ভিটা, রাজারহাটের ছিনাই ও সদরের সারডোব এলাকায় নদী ভাঙ্ণ তীব্র রুপ নিয়েছে। এর ফলে অাতংক দেখা দিয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের মাঝে।
ধরলা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচুঅঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: অারিফুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৭৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ৫৯ সেন্টিমিটার, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদ-নদী তীরবর্তী নিচুঅঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বন্যার আশংকা করছেন স্থানীবাসিন্দারা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঠালবাড়ী ইউনিয়ের চর সারডোব গ্রামের ধরলা পাড়ের বাসিন্দা মো: মজিবর রহমান জানান, গত দুই দিন থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে নিচুঞ্চলের ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বাসিন্দা চরযাত্রাপুরের বাসিন্দা মো: ইয়াকুব আলী জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দু’একদিনের মধ্যেই চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়বে বলে জানান।
ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: আয়নাল হক, শ্রী খীরদ চন্দ্র রায়,শ্রী নিরমল চন্দ্র রায়, জানান দু’দিন ধরে পানি বাড়তেছে এভাবে পানি বাড়লে তো গতবারের মত বন্যা হবে।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আইয়ুব আলী সরকার জানান, জেলার সবচেয়ে বড় নদ ব্রহ্মপুত্রে যেহেতু পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে সেহেতু বন্যা হওয়ারও আশংকা রয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ও ত্রান শাখা সুত্রে জানায়, বন্যা মোকামেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসন। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বৃহস্পতিার বন্যা মোকাবেলায় আবারো প্রস্তুতি মুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।