কলারোয়ায় সাবেক ছাত্রনেতা তুষারের উপর সন্ত্রাসী হামলার আসামী গ্রেফতার

0
4

ফিরোজ জোয়ার্দ্দার – সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী জিএম মনজুর মোর্শেদ তুষারকে হত্যার উদ্দেশ্য সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ডান হাতের কজ্বি কেটে নেয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে হত্যা প্রচেষ্টা মামলার সন্ধ্যেহভাজন রাকিবুল ইসলাম সিজান (১৯) কে গ্রেফতার করে শুক্রবার দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ই আগস্ট) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কলাগাছী মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রইচ উদ্দিন। গ্রেফতারকৃত রাকিবুল ইসলাম সিজান পৌরসদরের মির্জাপুর সরদার পাড়া গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে। এদিকে সাবেক ছাত্রনেতা তুষারের উপর সন্ত্রাসী হামলার মুল হোতা লোহাকুড়া গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে নূরুল কবীর বাবু পলাতক থাকায় এখনো তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। তবে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রেখেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এই বাবুই ধারালো দা দিয়ে তুষারকে হত্যার উদ্দেশ্য ডান হাতের কজ্বি কেটে নেয়। হত্যার প্রচেষ্টা মামলার এজাহারনামী আসামী রেজাউল ইসলাম, শেখ মেহেদী হাসান নাইচ, শেখ সাগর হোসেন, শেখ পলাশ, মন্টুসহ অজ্ঞত জহিরুল ইসলাম ও সর্বশেষ সিজানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামিনে থাকা আসামীরা এলাকায় আবারও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার পায়তারা চালাচ্ছেন। হত্যা প্রচেষ্টা মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধির দারস্তে হয়ে আহত জিএম তুষার ও মামলার বাদী আবু সিদ্দিককে বিভিন্নভাবে হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন জামিনে থাকা আসামীরা। তাছাড়া আহত তুষার ও মামলার বাদীর সাফ কথা ভাইপোর উপর সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িত সকল আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের সর্বোচ্ছ শাস্তির দাবী করেন। উল্লেখ্য চলতি বছরের ১৮ই মে পবিত্র রমজান মাসে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে এজাহারনামী ও অজ্ঞত আসামীরা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী জিএম মনজুর মোর্শেদ তুষারের বাসস্ট্যান্ড মোড়ে অবস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে প্রথম দফায় তুষারকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। সেই হামলায় আহত হয়ে তুষার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে হাসপাতালে দ্বিতীয় দফায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তার ডান হাতের কজ্বি কেটে নিয়ে পালিয়ে যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here