শেখ রাজু-ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে মসজিদ নির্মান কাজের বাঁধা দেয়ার অভিযোগ তুলেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা। এতে নামাজরত মুসুল্লীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ বরাবর অবগতি করলে নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, সরকারী কাজে কোন পাবলিক বাঁধা প্রদান করতে পারবেন না। যদি কেহ শক্তি প্রয়োগ করতে চান তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শফিকুল ইসলাম জানান, সরকারী নিয়ম নীতির মধ্য থেকে তৈরী করা হচ্ছে হাসপাতালের নতুন মসজিদ নির্মান কাজ। সম্পুর্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং প্লান মোতাবেক ৩য় তলা ফাউন্ডেশনের উপর তৈরী করা হচ্ছে মসজিদ নির্মান কাজ। গত কয়েকদিন আগে মসজিদ নির্মানকাজের শুভ উদ্ভোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ। উদ্ভোধনের পর থেকে ধীরগতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল মমজিদ নির্মান কাজের অংশ। কিন্তু মসজিদের সামনে থাকা নামধারী মা ফার্মেসী কুচক্র মহলের হোতা মিন্টু ও মসজিদ কমিটি’র সদস্য মফিজুর রহমান ব্যক্তি স্বার্থের জন্য মসজিদ নির্মানের কাজে বাঁধা গ্রস্থ করে চলেছেন। যা নামাজরত মুসুল্লীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ বরাবর বিষয়টি অবগতি করেন। তিনি মসজিদের বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেখভালো করার জন্য নিদের্শনা দেন। সেই মোতাবেক হাসপাতালের নব নির্মিত ভবন নির্মান কাজে বাঁধা প্রদান করায় দুই দিন ধরে কাজ বন্ধ ছিলো। আজ সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিদের্শনা মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া হাসপাতালের মসজিদ নির্মান কাজের জন্য মসজিদ কমিটি’র সদস্য মফিজুর রহমান নগদ ৫০ হাজার টাকা দান করেন। কিন্তু তার স্বার্থের মধ্যে মসজিদের গেটটি না পড়ায় নির্মান কাজ না হয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং প্লান মোতাবেক ফাউন্ডেশন হওয়ার ব্যক্তি স্বার্থের জন্য সেই টাকা উঠিয়ে নিয়ে নেয়। খোঁজ নিয়ে ও মুসুল্লীগণের অভিযোগের বরাত দিয়ে জানা যায়, বিগত দিনে হাসপাতালেন মসজিদটি ছোট থাকায় নামাজরত মুসুল্লীগণের চাপে সেটি ভেঙ্গে বড় মাপের মসজিদ তৈরী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভেঙ্গে ফেলা মসজিদটি পাশে অস্থায়ী মসজিদ হিসেবে মুসুল্লীগণের নামাজের জন্য তৈরী করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মসজিদ পরিচালনা পরিষদ যৌথ মিটিং করে রেজুলেশনের মাধ্যমে মসজিদটি বড় করার জন্য সংসদ সদস্য এ্যাড মুস্তফা লুৎফুল্লার মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং প্লানে প্লান পাশ করে নতুন করে মসজিদটি নির্মান কাজ করা হচ্ছে। এ নির্মান কাজের জন্য মসজিদ বড় ও সামনের গেটটি সড়ানো হয়ে সোজাসুজি গেটটি নির্মানের জন্য প্লান তৈরী করা হয়েছে। কিন্তু পুরানো গেটের সামনে থাকা কিছু ধর্ম বিরোধিতাকারী নিজের স্বার্থের জন্য গেটসহ মসজিদ নির্মান কাজে বাঁধাগ্রস্ত করে চলেছেন। ধর্মীয় অনুভুতির উপর ব্যগাত সৃষ্টি করে ব্যক্তি স্বার্থের নামধারী কুচক্র মহল গেট সহ নতুন মসজিদ নির্মান কাজ না হয় সেজন্য পায়তারা চালায় আমলাদের কাছে। সকল ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে কুচক্র মহলের বাঁধা উপেক্ষা করে ধর্মের উপর বাঁধাগ্রস্ত কারীকে আল্লাহতালা কখনো ক্ষমা করবেন না তাদের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা হবে। তাদের এমন ঘৃণা কাজে নামাজরত সাধারণ মুসুল্লীরক ধিক্কার জানায়। পাশাপাশি তারা যেন এমন জঘন্য কাজে লিপ্ত থেকে মুসুল্লীগণের ইমান নষ্ট না করে তারও বিচারের দাবী জানায়।