ফিরোজ জোয়ার্দ্দার-ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিগত উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোট করার অপরাধে ও আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যক্রম শেষে সদস্য ফরম সংগ্রহে তা বিতরণ করে বাড়ী ফেরার সময় কলারোয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামকে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এ্যালোপাতারী মাথাসহ সারা শরীরে আঘাত করে বাম পার হাটুর নিচে মারাত্বক হাড়ভাঙ্গা জখম করেন এজাহারনামীয় সন্ত্রাসীরা। উপজেলা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট করার অপরাধে একটি সন্ত্রাসী বাহিনীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালায় বলে আহত পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জানান। লোহার রড দিয়ে মাথায় ও কোমরে কিডনির উপর আঘাত করে তার বাম চোখে ঘুসি মেরে নীলা ফোলা জখম করেন জামায়াত বিএনপি থেকে উঠে আসা হাইব্রীড আওয়ামীলীগরা। এভাবে চলতে থাকে ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা। ২৪ শে মার্চ উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে আজ অবদি বিজয়ী আনসার প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে হামলার শিকার হয়ে কমপক্ষে নৌকা প্রতিকের ১০০ ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন বলে সুত্রে জানা যায়। হামলার সময় তাদের ঘর-বাড়ীও ভাংচুর করা হয়। লুটপাট করে নেয়া হয় টাকাসহ প্রয়োজনী আসবাবপত্র। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটলেও তবুও থেমে নেই কলারোয়ায় শ্বেত সন্ত্রাস। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করলেও পারছেন না অজ্ঞত কারণে। বার বার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষকে আতংকগ্রস্থ করে রেখেছেন সন্ত্রাসীরা। মামলার বিবরণে জানা যায় মঙ্গলবার (২৩ ই জুলাই) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে ভোট করার অপরাধে ও আওয়ামীলীগের সদস্য ফরম সংগ্রহে তা বিতরণ শেষ করে বাড়ী ফেরার সময় পৌর সদরের দক্ষিণ মুরারীকাটি পালপাড়া গ্রামের রামপালের দোকানের সামনে আসলে ৭নং মুরারীকাটি গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজিজুর রহমানের (৪২) নেতৃত্ব একই গ্রামের ছলেমান মল্লিকের ছেলে সাইদুর রহমান মল্লিক (৪৩), মৃত বদর উদ্দিন হাজরার ছেলে আব্দুল আলীম (৩৮), আব্দুল মাজেদ গাজীর ছেলে আব্দুল গফুর (৪৫) ও গোপিনাথপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৬) শহিদুল ইসলামকে গতিরোধ করে লোহার রড দিয়ে এ্যালোপাতাড়ি মারপিট করে সারা শরীরে জখম করেন। মারপিটের এক পর্যায়ে তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ছুটে এসে আশংকাজনক অবস্থায় শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন। বর্তমানে হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জখম শহিদুল ইসলাম। এ ঘটনার আহত শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি আজিজুর রহমানসহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। যা পরবর্তীতে ১৪৩/৩৪১/৩২৫/ ৫০৬(২)/১১৪ পিসি বেআইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে পথরোধ করে মারপিট করিয়া গুরুত্বর জখম করাসহ প্রান নাশের হুমকি ও হুকুম দানের অপরাধে একটি মামলা নং (৩৯) ২৪/৭/১৯ রেকর্ড করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম নামধারী এজাহারভুক্ত আসামীদের ধরতে ঝটিকা অভিযান চালাতে থাকেন। কিন্তু আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছেনা। আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন তিনি। এদিকে অভিযুক্ত পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সম্পর্কে তার কিছুই জানা নেই। দলীয় কোন্দলের কারণে তাকে বানোয়াট ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, মামলার এজাহারনামী আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন তিনি। অতিদ্রুত জড়িত সকল আসামীদের গ্রেফতার করা হয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে তিনি জানান।