মোঃ জুলফিকার আলী, কলারোয়া থেকে – কলারোয়ায় সন্ত্রাসীদের হাতুড়ি পেটায় পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছে কাঠ ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান সাগর নামে এক যুবক। সে পৌর সদরের মুরারীকাটি গ্রামের আ: গফুরের ছেলে। বৃহস্পতিবার (৪মার্চ) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত কাঠ ব্যবসায়ী সাগরের পিতা আঃ গফুর জানান-তাদের মুরারীকাটি মাঠে ২বিঘা ১২কাটা জমি ছিলো। ওই জমিতে তিনি ইরি ধান চাষ করে আসছেন। হঠাৎ ওই ধান চাষের জমিতে একই এলাকার আঃ সামাদ সাহাজীর ছেলে সাজ্জাদ সাহাজীর নেতৃত্বে ৮/১০জন যুবক ক্রিকেট খেলা শুরু করে। এতে করে বল লাফিয়ে লাফিয়ে ধান ক্ষেতে পড়ে জমির অধিক অংশ ধান নষ্ট হয়। কয়েক দিন বল খেলতে নিষেধ করা হলেও সাজ্জাদ সাহাজী কর্নপাত করে না। এনিয়ে কথাকাটি হয়। পরে ওই পূর্ব শত্রæতার জের ধরে লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি সোটা নিয়ে সবুজ হোসেন, জুলফিকার হোসাইন, আব্দুস সামাদ, চঞ্চল, রনি হোসেন, বাপ্পী, মামুন, সাজ্জাদ, নুর ইসলাম, মামুন, বিল্লাল, নাছিমা খাতুন, রুপা খাতুন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দলবদ্ধ হয়ে ৪মার্চ ২০২০ তারিখে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাদের বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর ওৎ পেতে থাকে। এসময় কৃষি জমির মালিক আব্দুল গফুর (৪৫) বাড়ী থেকে বের হওয়া মাত্রই তাকে ধরে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে জখম করা হয়। তার ডাকচিৎকারে মেহেদী হাসান সাগর (২৭), ইনছাপ আলী (৪২), সোহাগ আলী (২৫) এগিয়ে আসলে তাদেরও ধরে লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে পিটানো হয়। তাদের এলোপাতাড়ী হামলায় কাঠ ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান সাগরের মাথা ফেটে মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তার মৃত্যু ভেবে ওই সন্ত্রাসীরা ফেলে রেখে চলে যায়। এসময় স্থানীয় গ্রামবাসী এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এর মধ্যে মেহেদী হাসান সাগরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্মরত চিকিৎসকগণ সাথে সাথে খুলনা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা উল্লেখ্য করে জখম প্রাপ্ত কাঠ ব্যবসায়ীর মেহেদী হাসান সাগরের চাচা মুনছুর আলী মোল্যা বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় ১৩জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলা হওয়ার পর থেকে তাদের নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে আসামী পক্ষের লোকজন। এমনকি মামলাটি ভিন্ন খাতে নিয়ে হয়রানী মুলক মিথ্যা বানোয়ার্ট তথ্য উপস্থাপন করে তারা সংবাদ সম্মেলন করছে। এদিকে আহত কাঠ ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান সাগরের মা ফরিদা খাতুন বলেন-দীর্ঘ এক বছর ধরে তার ছেলে বাড়ীতে পড়ে রয়েছে। পঙ্গত্ব জীবন যাপন করছে। তার একটি আড়াই বছরের শিশু সন্তান রয়েছে। এই পঙ্গুত্ব জীবন নিয়ে সংসার কিভাবে চালাবে। তার পরে প্রতিদিন ৩/৪শ টাকার ঔষুধ লাগছে। ওই এলাকার পৌর কাউন্সিলর শেখ ইমাদুল ইসলাম বলেন-২মার্চ-২০২১তারিখে গোলাম মোস্তফা যে সংবাদ সম্মেলনে আমার নাম উল্লেখ করে যে কথা বলেছে সেটি সঠিক নহে। আমি এধরনের কোন কথা কাউকে বলেনি। অন্যদিকে মামলার বাদী মুনছুর আলী মোল্যা বলেন-মামলাটি ভিন্নখাতে নিতে গোলাম মোস্তফা সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা কথা উপাস্থাপন করেছে। তার ছেলেকে মামলা থেকে বাদ দিতে এক লাখ টাকা দাবীর বিষয়টি সম্পর্ন মিথ্যা ও বানোয়ার্ট। মামলার বাদী আরো বলেন-আসামী পক্ষের লোকজন তাকে প্রতিনিয়ত জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা পুলিশ সুপার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।