ফিরোজ জোয়ার্দ্দার-ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী জিএম মনজুর মোর্শেদ তুষারের উপর হাতকাটা বাহিনী’র সন্ত্রাসী হামলার মুল হোতা শেখ মেহেদী হাসান নাইচসহ সকল আসামীদের ফাঁসির দাবী জানিয়ে আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন হামলার শিকার জিএম তুষার ও মামলার বাদী আবু সিদ্দিকসহ তার পরিবার। বুধবার আদালতের মাধ্যেমে নাইচকে জেল হাজতে প্রেরণের পর তারা আবেগকন্ঠে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই আহবান রাখেন। তাছাড়া আগামীতে কলারোয়া বাসীদের সাথে নিয়ে নেক্কারজনক এ ঘটনায় প্রত্যাক্ষ-পরেক্ষভাবে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যেমে সনাক্ত হওয়া ও হামলার সাথে জড়িত সকল আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবী জানিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচীর ঘোষণা আসতে পারে বলে আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। হামলার সাথে জড়িত পলাতক এজাহারনামী ও অজ্ঞত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টায় ব্যার্থ হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রইচ উদ্দিনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আহত তুষার। দেশব্যাপী আলোচিত রমজান মাসে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর মোর্শেদ তুষারকে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে ১৫ লক্ষ টাকার গোপন চুক্তির বিনিময়ে ২লক্ষ টাকা অগ্রীম নিয়ে জমি দখলে বাঁধা প্রদানে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলা ও ডান হাতের কজ্বি কেটে নেয়ার মতো জঘন্য ঘটনার মুল হোতা হাতকাটা বাহিনী’র প্রধান শেখ মেহেদী হাসান নাইচকে ঘটনার ৩৮ দিন পার হলেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহারের আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এদিকে তুষারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িত অজ্ঞত আসামীরা বহু তবিয়তে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রতিনিয়ত মামলার বাদী আবু সিদ্দিকসহ পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চলেছেন। বাকী আসামীদের অতিদ্রুত গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণের জন্য কলারোয়া থানা পুলিশের সু-দৃষ্টি কামনা করেন মামলার বাদী। তাছাড়া বহু অপকর্মের হোতা নারী কেলেঙ্কারীসহ কখনো ভূয়া পুলিশের দারোগা, ডিবি পুলিশের এসআই, সিআইডি পুলিশের স্টাইকিং ফোর্স ও র্যাবের উপ পরিদর্শক সেজে গ্রাম অঞ্চলের নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। যার প্রমান আছে কলারোয়া থানার সাবেক দুই দারোগার সাথে ঘনিষ্টভাবে মেলা মেশায় এসব অপকর্ম করে চলায় হলো নাইচের পেশা। এভাবে একের পর এক বহু অপকর্ম করে চলে আসা হাত কাটা বাহিনীর মুল হোতা শেখ নাইচকে রীতিমত সাপোর্ট দিয়ে যেতেন অভিযুক্ত দুই সাবেক দারোগা আর সমাজে জনপ্রতিনিধির লেবাসধারী সন্ত্রাসী তৈরীর কারিগর। তিনি নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য দাবার চাল হিসেবে ব্যবহার করতেন হাতকাটা বাহিনীকে। সমাজে এমন কোন অপকর্ম নেই যে হাতকাটা বাহিনী করতো না। যারা তাদের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করেছেন তারাই পড়ে যেতেন বিপাকে। নাইচকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের মুখ খুলতে শুরু করেছেন নির্যাতিতরা প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধির ছত্র ছায়ায় থেকে হাতকাটা বাহিনী ধরাকে সরাজ্ঞান মনে করে অপকর্ম কাজ রীতিমত চালিয়ে যেতেন দেদারসে। তাই আইনের সর্বোচ্ছ শাস্তি ফাঁসির দাবী করেন মামলার বাদীসহ সূধীজনেরা। এমন জঘন্য ঘটনার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে কলারোয়া বাসীর মনে। এদিকে হাতকাটা বাাহিনীর মুল হোতা শেখ নাইচকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণের পর বাহিনীর হাতে নির্যাতিত নিরীহ ব্যক্তিরাসহ এলাকাবাসী সস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেন। নাইচকে আটকের পর আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এলাকায় মিষ্টি বিবরণ করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেন তারা। উল্লেখ্য কাজীরহাট বাজার এলাকায় ১৮ শতক জমি দখল ও মামলার প্রথম আসামী জমির মালিক রেজাউল ইসলামের সাথে ১৫ লাখ টাকা চিক্তির বিনিময়ে ২ লক্ষ টাকা অগ্রীম নিয়ে জমি উদ্ধারসহ তুষারকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা গত ১৮ই মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসস্ট্যান্ড মোড়ে অবস্থিত তুষার ইলেকট্রনিকের মালিক তুষার দোকানে থাকাকালে তার উপর প্রথম দফায় হামলা চালিয়ে জখম করেন সন্ত্রাসীরা। যা ঘটনার সময় দোকানের বাহিরে থাকা ভিডিও ফুটেজের মাধ্যেমে শনাক্ত করা হয় জড়িতদের। পরে জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিএম তুষারের উপর দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়ে গাছ কাটা ধারালে দাঁ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারলে তা হাত দিয়ে ঠেকাতে যাওয়ায় ডান হাতের কব্জি কেটে পড়ে যায়। এ ঘটনায় তুষারের চাচা আবু সিদ্দিক বাদী হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞত, ১৫/২০ জনকে আসামী করে কলারোয়া থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার মুল হোতা শেখ নাইচকে আসামী করা হয়।