কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিপদজনক সেতু, যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা

0
0

আজিজুল হক নাজমুল
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কুটিচন্দ্রখানা আজীর- জোল এলাকার নীলকোমল নদীর উপর প্রায় ২৫ বছরের পুরাতন ব্রিজটি টপ স্লাব বীম নীচে ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম। সেই সঙ্গে ছাদ স্লাব গর্ত হয়েছে এবং এক পাশে পুরো র‌্যালিং ভেঙে যাওয়ায় মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে ব্রিজটি। যেকোন সময় বড় ধরণের দুঘর্টনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছে। প্রতিদিনেই প্রয়োজনের তাগিদে বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার হাবিব পুর, কামালপুর,বটতলা, জেলেপাড়া, আবাসন ও ফুলসাগড়সহ শতশত মানুষ জীবনের ঝঁকি নিয়ে র‌্যালিং বিহীন ও পাটাতন ধসে যাওয়া সরু ব্রিজ দিয়ে পারাপার হচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই।

অাজ সোমবার  সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ২৫ বছর আগে এলজিইডি ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে নির্মাণ করেছে। উপজেলার ফুলবাড়ী সদর থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত প্রায় ১২০ ফিট লম্বা র‌্যালিংবিহীন এই ব্রিজটি। সেই সঙ্গে প্রতিদিনেই এলাকাবাসীসহ বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার ৬০ – ৭০ জন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ দিয়ে স্কুল-কলেজে যাওয়া আসা করে। যেকোন সময় ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচলে শিক্ষার্থীসহ অনেক পথচারীর দুর্ঘটানার আশঙ্কা করছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েই এই ব্রিজ দিয়ে বাইসাইকেল, মোটরবাইক ও অটোরিকশা নিয়ে সব সময় যাতায়াত করে এলাকাবাসীসহ দূর-দূরান্তের অনেকেই।

বছরের পর বছর ধরে শিক্ষর্থীসহ এলাকার হাজারও মানুষ র‌্যালিংবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন। স্থানীয়রা নতুন করে ব্রিজ নির্মাণসহ প্রায় ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাঁকা করণের দাবি জানিয়েছেন।

বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়া কামলপুর এলাকার কলেজছাত্র সুজন মিয়া, নজরুল ইসলাম, জুম্মন, জাকির হোসেন, বেলাল, জোলেখা বেগম ও হাবিবুর রহমান জানান, প্রতিদিনেই র‌্যালিং বিহীন ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ব্রিজটি অনেক পুরাতন এক পাশে র‌্যালিং নেই। সেই সাথে পাটাতন ধসে যাচ্ছে। ভয়ে ভয়ে এই ব্রিজ দিয়ে পারাপার করতে হয়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃকপক্ষের কাছে দ্রুত নতুন ব্রিজ নির্মাণসহ ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাঁকা করার দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আসিফ ইকবাল রাজিব জানান, ব্রিজটির ব্যাপারে সম্পূর্ণ তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃকপক্ষকে জানানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here