আজিজুল হক নাজমুল :
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ হাইকোর্টের আদেশে কুড়িগ্রাম জেলার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। সরকারি বিধিমালা লংঘনের অভিযোগে গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগে জনৈক জান্নাতুল ফেরদৌসির করা রিট পিটিশনটি গ্রাহ্য করে আদালত এ আদেশ দেন।
গতকাল ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে কুড়িগ্রাম জেলা দায়রা জজ আদালতে এ আদেশ পৌঁছলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
খোজ জানা যায়, ২০১৯ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ১৬৬ জনকে চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। শিক্ষক নিয়োগে ২০১৩ লংঘনের অভিযোগে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মঈদাম এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু ইব্রাহীমের কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০২ ধারা লংঘনের অভিযোগে হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন আনয়ন করেন। এরই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ বিচারক শেখ হোসাইন আরিফ এবং বিজ্ঞ বিচারক মো: মাহমুদ হাসান তালুকদার’র বেঞ্চে দীর্ঘ শুনানী শেষে ২৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ৬ মাসের জন্য নিয়োগ স্থগিত করেন।
পিটিশনকারীর পক্ষে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারী, সহকারি এটর্নি জেনারেল নজরুল ইসলাম খন্দকার, তাহমিনা পলি, দেলোয়ার হোসাইন ও সেলিম আজাদ শুনানীতে অংশ্রগহন করেন।
কুড়িগ্রাম জজকোর্টের অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার মহামান্য হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত আদেশের জাবেদা কপি ডাক বিভাগের মাধ্যমে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এসে পৌঁছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেছি। হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত আদেশের কপি হাতে পেলে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।