ডা. শাহরিয়ার আহমেদঃ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার (৭ই ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে ভর্তি কমিটির প্রথম সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলসহ (বিএমডিসি) ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন অংশ নেন।
গত ২৬শে নভেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সাধারণত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক-দেড় মাসের মাথায় এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে নীতিমালাসহ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সামগ্রিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দ্রুততম সময়ে নীতিমালা সম্বলিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।
গত বছর ১০ মার্চ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হয়েছিল। করোনাজনিত কারণে পিছিয়ে যাওয়া শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে আনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ বছরও ভর্তি পরীক্ষার তারিখ এক মাস এগিয়ে আনা হলো।
এ বছর দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে আরও এক হাজার ৩০টি আসন বৃদ্ধি করেছে সরকার। এতে মোট আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো পাঁচ হাজার ৩৮০টিতে। বর্ধিত আসনে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি হতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন বেড়েছে ২০-৬০টি পর্যন্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন বেড়েছে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজে ৬০টি। এ ছাড়া মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক ৫০টি ও শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে ৬০টি করে, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেলে ৩৫টি, সাতক্ষীরা মেডিকেলে ৩৫টি ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেলে ৩৫টি আসন বেড়েছে।
এর আগে দেশের সরকারি ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে বছরে ৪ হাজার ৩৫০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়ে আসছেন। আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার ফলে এ সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৩৮০।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ ২০২২-২৩ সেশনের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল প্রকাশিত হয় প্রকাশিত হয় ১২ মার্চ।
এই সেশনে মোট পাসের সংখ্যা ৪৯ হাজার ১৯৪ জন। পাসের হার ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেরা পাস করেছে ২০ হাজার ৮১৩ জন, যা শতকরায় ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ও মেয়েরা পাস করেছে ২৮ হাজার ৩৮১জন অর্থাৎ ৫৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
তারও আগে ২০২২ সালের ১ এপ্রিল ২০২১-২২ সেশনের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর চার দিন পর ৫ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে পাস করে ৭৯ হাজার ৩৩৭ জন। পাসের হার ছিল ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।