গত বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ সহ শীর্ষ নেতারা আলোচনায় অংশ নেয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের কোনো একজনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। কিন্তু বিএনপির এটা পারবে এখানে আওয়ামী লীগের একটি আক্রোশ আছে। মুক্তিযোদ্ধা পিছিয়ে ছিল ঘোষণা দিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেটা তাদের সহ্য হয়নি। শুধু ঘোষণা দিয়ে থেমে থাকেননি, তিনি যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন এমনকি যুদ্ধও করলেন। আওয়ামী লীগ যত কথাই বলুক না কেন একথা কে না জানে। আমি যদি বলি এতগুলো বিশিষ্ট এর মধ্যে একজন আওয়ামী লীগ নাই। পদকপ্রাপ্ত কোনো মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগে নাই। এগুলো একটি ঈর্ষা আর এই ঈর্ষার কারণে আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র বিএনপি ও জিয়াউর রহমানকে নিয়ে রাজনীতি করছে।
বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক লুট হলো চাপা দিলো শেয়ার মার্কেট দিয়ে। অথবা শেয়ার মার্কেট লুট হলো চাপা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়ে। যখন কোনো একটা তাদের খারাপ ঘটনা ঘটে তখন তারা অন্য একটা বিষয় দিয়ে চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এটা হলো আওয়ামী লীগের রাজনীতি আর বিএনপির রাজনীতি। এই যে বন্যা হচ্ছে দেশে, করোনা হচ্ছে দেশে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেই লন্ডনে বসে আমাদের আগে চিন্তা করছেন এবং ত্রাণ কমিটি করে দিয়ে মানুষের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই করোনা সময় আমাদের বিএনপির লোকজন বিভিন্ন ভাবে কাজ করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের আগমন সম্পর্কে আব্বাস বলেন, আমার কাছে মনে হলো আজকে কোনো দেশের এক প্রধানমন্ত্রী এসেছে। আওয়ামী লীগের কাজ হলো দেশে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করা এবং দেশটাকে শেষ করে দেয়া। এই হলো আওয়ামী লীগের রাজনীতি আমাদের কাজটা কি? আমাদের কাজ হল, নিজেদেরকে সুসংগঠিত করে এই হায়না বাহিনীকে প্রতিরোধ করা এবং প্রতিহত করা।