স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজগঞ্জে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে বালির পরিবর্তে পুকুরের কাদা-মাটি ব্যবহারের অভিযােগ উঠেছে। সরকারি নিয়মনীতির তােয়াক্কা না করে রাস্তা নির্মাণে এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন টিকাদার শাহিনুর রহমান। মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের হরিশপুর ও রসুলপুর এলাকায় সরেজমিনে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। চালুয়াহাটি ইউনিয়নের শয়লারহাট এতিমখানা থেকে হরিশপুর বাজার ভায়া রসুলপুর গ্রামীণ টাওয়ার পর্যন্ত আড়াই কিলােমিটার গ্রামীণ রাস্তার কাজ চলছে | যার ব্যয় ধরা হয়েছে দুই কোটি ৪৩ লাখ টাকা। স্থানীয়রা অভিযােগে জানান, জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা শেষে সড়কটির উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও এ রাস্তা কতােদিন টিকবে তা বলা মুশকিল । রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে, বালির পরিবর্তে পুকুরের মাটি। যা সামান্য বৃষ্টিতেই মাটি ধুয়ে চলে যাবে। সড়কে কাজ করা শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে বালির চেয়ে অধিক পরিমাণে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। যার কারণে রাস্তাটি বেশিদিন টেকসই হবে না। বিষয়টি স্থানীয় জনগণ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যকে অভিযােগে জানিয়েছেন ।প্রতিমন্ত্রী তাৎক্ষণিক মণিরামপুর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার সানাউল্লাহকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সানাউল্লাহ পরিদর্শনে যান ও বিষয়টির সত্যতা পেয়ে ওইস্থানে দাড়িয়ে ঠিকাদারকে মােবাইল ফোনে কাজ বন্ধ রেখে রাস্তায় দেয়া কাদা মাটি অপসারণের নির্দেশ দেন।