গতকাল ২৪শে জুলাই রোজ বুধবার সকালে টঙ্গীর গাজীপুরা কাজীবাড়ি চন্দ্রিমা সোসাইটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুন্না পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার তাঁতেরকাঠী গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। সে উত্তরার শাহিন ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
নিহত মুন্নার বাবা ঢাকার বনানীতে একটি জনশক্তি অফিসে চাকরি করেন। তারা টঙ্গীর গাজীপুরা কাজীবাড়ি চন্দ্রিমা সোসাইটি এলাকার হাবিবুর রহমানের পাঁচতলা বাড়ির চতুর্থ তলায় সপরিবারে বসবাস করেন।
নিহতের খালু শাহাদাত হোসেন জানান, উত্তরা শাহিন ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র মুন্না বেশ কয়েকদিন যাবৎ জ্বরে ভুগছিল। পরে তাকে হোস্টেল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। সেই থেকে সে বাসায়ই থাকছিল।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় মুন্নাকে একা বাসায় রেখে তার মা মুকুল বেগম ছোট ছেলে তামিমকে নিয়ে স্কুলে যান। স্কুল থেকে বাসায় ফিরে মুন্নার লাশ খাটের ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মুন্নার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গিয়েছিল এবং কণ্ঠনালী ছিল কাটা।
খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই আবদুস সালাম নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে পাঠান। খবর পেয়ে মহানগর পুলিশ কর্মকর্তারা বাড়িটি ঘেরাও করে রাখেন। তবে কে বা কারা এবং কী কারণে মুন্নাকে হত্যা করেছে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ কিছুই বলতে পারেনি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।