নড়াইল প্রতিনিধি: করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নড়াইলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু সাংবাদিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের মম্মেলন কক্ষে জেলা শহর কেন্দ্রীক কিছু সংগঠনের মাঝে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: ইয়ারুল ইসলাম, এনডিসি মো: জাহিদুল ইসলামসহ কিছু মানুষ।
জেলা প্রশাসনের নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয়কৃত এসব স্বাস্থ্য সুরক্ষা সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করার কথা থাকলেও তা করতে দেখা যায়নি উপকরণ বুঝে পাওয়া ওইসব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদেরকে।
এ বিষয়ে কথা হয় লোহাগড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ বদরুল আলম এর সাথে, তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, লোহাগড়াকে বাদ দিয়ে শুধু নড়াইল শহরটা নিয়ে যদি জেলা প্রশাসন চিন্ত করে তাহলে কি করোনা প্রতিরোধ হয়ে যাবে। আমি শুনেছি সদরের কিছু সংগঠনের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী লোহাগড়া প্রেসক্লাবে ৩০জনের বেশি সাংবাদিক সদস্য আছেন। তাদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কিছুই করা হয়নি। এর আগেও আমরা দেখেছি করোনা কালিন প্রনোদনা চেক শুধু মাত্র নড়াইল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মাঝে বিতরণ করেছিলেন তৎকালিন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা। তখনও লোহাগড়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সদস্যরা সরকারের দেওয়া সেই প্রনোদনা থেকে বাদ পড়েছিল। আশ করছি আগামীতে এধরনের ঘটনার পুণঃরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে বিষয়ে আরও বেশি আন্তরিক হবেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দ।
কালিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমানত ইসলাম পারভেজ বলেন, কোভিট-১৯ নিয়ন্ত্রনে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সবসময় কাজ করে আসছে গণমাধ্যমকর্মীরা। আমরা দেখেছি করোনা থেকে মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে অনেক সহকর্মী সংক্রমিত হয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য নড়াইল জেলা প্রশাসন বারবারই শুধু সদর উপজেলার কিছু সাংবাদিকদের সহযোগিতা করে আসছেন। আমাদের মনে রাখতে হবে নড়াইল জেলা তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত।
নড়াইল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী আশরাফ বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়ন করতে এবং মানুষকে ঘরে রাখতে প্রশাসনের কর্মকান্ড প্রশংসনীয়। সম্প্রতি ফেসবুকের বদৌলতে জানতে পারলাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের হাতে কিছু স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে সাংগঠনিক ভাবে যাত্র শুরুকরলেও নড়াইল সাংবাদিক ইউনিয়ন জেলা প্রশাসনের ওই তালিকায় থেকে বাদ পড়েছে। আশা করছি জেলা প্রশাসন বিষয়টি দেখবেন।
তবে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কোন সুনির্দৃষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।