নূরে হাবিবঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আর এক নাম যশোরের শার্শা উপজেলার টেংরার মাখাল বিল।গত ক-এক বছরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মাখাল বিলের হারানো সৌন্দর্য ফিরে পেয়েছে চলতি মৌসুমে।এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার পাঁচশো সত্তোর বর্গকিলোমিটার আয়াতোনের বাংলাদেশ আকারে ছোট হলেও ছয়টি ঋতু,
প্রকৃতিক বৈচিত্র্য,নদী নালা খাল বিল, বিশাল বিশাল পাহাড়,সমুদ্র সৈকত আর সুন্দরবনের জন্য বিখ্যাত এই স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
যশোরের শতশত বিখ্যাত জিনিসের মধ্যে শার্শার বাগাআঁচড়া ইউনিয়নে টেংরা গ্রামের মাখাল নামক বিলটির বেশ শুখ্যাতি রয়েছে।যদিও বিলটি আয়াতোনের দিক দিয়ে পাঁচটি গ্রাম টেংরা,আলম পুর,বাগাডাঙ্গা,মহিসা কুড়া ও কন্যদাহকে স্পর্শ করেছে।মুখশ্রতি আছে এক সময় মাখল বিলে প্রচুর টেংরা মাছ পাওয়া যেত,তাই মাখলা উপকূলিয় জনবসতি এলাকা টেংরা নামে পরিচিতি লাভ করে।তবে বর্শাকালে বিলের পানি কূল ছাপিয়ে ইছামতী নদীতে প্রবেশ করলে বিভিন্ন জাতের মাছ প্রবেশের সুযোগ পায়,ফলে ভেটকি মাছের জন্য সুনামও আছে মাখল বিলের।প্রায় একশো পরিবার মাখল বিল থেকে মাছ ধরে তাদের জিবিকা নির্বাহ করে।শরৎ কালের শেষে স্থানীয় পাক-পাখালির সাথে দেখা মেলে অথিতী পাখিরও।ঠিক তখনি কিছু পাখি সিকারী দেশী প্রজাতির সাথে অথিতী পাখি সিকার করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানাযায় আলমপুর,মহিশাকুড়া ও টেংরার গুটি ক-এক মানুষ পাখি মারা ফাঁদ ও এয়ার গান ব্যাবহার করে পাখি সিকার করছে।যা এই প্রকৃতি ও সৌন্দর্যের জন্য হুমকি সরুপ।
শুখনো মৌসুমে পানি শুখালে ইরি ধান সহ শরিসা,পাট ও প্রচুর গম উৎপাদন হয় মাখাল চরে।
মাখল বিলকে দুভাগ করেছে বালুন্ডা জামতলা সড়ক তাই প্রকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে দূর দুরান্তের মানুষ।তবে জামতলা বালুন্ডা সংযোগ সড়কের মহিশাকুড়ার ব্রিজ নির্মানের কাজ ধীর গতির কারনে পারাপারে অসুভিদা হওয়ায় জনদূর্ভোগ বেড়েছে।তাই ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করার আহবান এই অঞ্চলের মানুষের।