শাহাবুদ্দিন আহামেদ বেনাপোল: যশোরের বেনাপোল পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড ছোট আঁচড়া গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য, মোঃ অহিদুল ইসলাম হত্যার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারী আলী এখনো আটক হয়নি।
২ জনুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় বেনাপোল বন্দর প্রেসক্লাবে ৮নং ওয়ার্ড ছোট আঁচড়া গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য, মোঃ অহিদুল ইসলামের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
অহিদুলের মেয়ে আছিয়া(১৪) সংবাদ সম্মেলন বলেন আমার বাবা ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর ভোর ৬ টার সময় আমাদের গ্রামের আলী কাজের উদ্দেশ্যে মাছের ঘেরে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সারাদিন পার হয়ে গেলেও আমার বাবা বাড়িতে আসেনি, তারপর
আলীদের বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে আলীকে
বাড়িতে পাওয়া যায়নি,এবং গ্রামবাসীকে জানালে সবাই আমার বাবকে খুজতে থাকে,এবং গ্রামবাসীকে নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি জিডি করি। পরের দিন দুপুর ১ টার সময় খবর পায়,আক্তার মাহমুদ বাবলুর ঘেরে আমার বাবার লাশ ভেসে আছে। এমন খবর পেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানা ওসিকে নিয়ে আমার বাপের লাশ উদ্ধার করি। পরে মরা দেহ ময়না তদন্তের জন্য যশোর পাঠায়। পরে বেনাপোল পোর্ট থানায় আমার বাবার হত্যার মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে যশোর কোর্টে আমার মা বাদী হয়ে একটি মামলা করে। তবে হত্যার তিন মাস
পেরিয়ে গেলেও এখনও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারিনি। তাই প্রশাসনের কাছে জোর দাবি আমার বাবার হত্যার আসামিকে দ্রুত আটক করে,বিচার দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে তার স্ত্রী শিল্পী বাদী হয়ে যশোর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজেষ্ট্রেট কোর্টে ৩০২/৩৪ ধারা মতে দুইজনকে আসামি করে ও ৪/৫ জন অজ্ঞতনামা দিয়ে মামলা করেন।
আসামিরা হলেন, ১নং মোঃ আলী(৩৫) পিতা মোঃ খলিল,২নং মোঃ আক্তার মাহমুদ বাবলু(৫৫) পিতা মৃত কাওছার আলী,উভয় সাং ছোট আঁচড়া, বেনাপোল পোর্ট থানা।
উল্লেখ্য গত ২০২৪ সালের শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে বেনাপোল সীমান্তের চাত্রের বিল এলাকার আক্তার মাহমুদ বাবলুর মাছের ঘের থেকে এই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
এর আগে ১০ অক্টোবর সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। সে ওই মাছের ঘেরে গার্ডের কাজ করতো,নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত অহিদুল ইসলাম ছোটআঁচড়া পূর্ব পাড়া এলাকার নিছার আলী খোকনের ছেলে। তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে।