শার্শা প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় জোরপূর্বক ঘরবাড়ি ভাংচুর ও জমি দখলের অভিযোগ তুলেছে বাঁগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত নাইটগার্ড কাম ঝাড়ুদার আমজাদ আলী। সে বাঁগআচড়া ১নং ওয়ার্ড পূর্বপাড়া কলোনীর বাসিন্দা মৃত খোদাবক্সের ছেলে।
বাগআঁচড়া কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী আনোয়ারের মেয়ে রুবিনার সাথে আঁতাত করে। আমজাদ হোসেন ও তার স্ত্রীর বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে ঘরে তালা মেরে দেয়।
বিষয়টির প্রতিকার পেতে ইতিমধ্যে তিনি বাঁগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদে ও বাঁগআচড়া পুলিশ তদন্দকেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে আরো জানা গেছে।
জোরপূর্বক বসতঘর দখলের বিষদ তুলে ধরে ভূক্তভোগী আমজাদ আলী জানান, ১৯৭১সাল হতে তারা সরকারী কলোনীর জমিতে পিতার সাথে বসবাস করে আসছেন। তাহার পিতা ও বড় ভাই মারা গেলে ছোট ভাই আনার আলীকে নিয়ে তারা সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছে।
বিএনপি সরকার ক্ষমতায় গেলে তার ছোট ভাই আনার বিএনপির নির্যাতনে পাগল হয়ে কিছু দিন এলাকায় থাকার পর দীর্ঘদিন নিখোঁজ। আনারের কোন পুত্র সন্তান না থাকায় সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল এ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সন্মতিতে আমার ভাইজি রুবিনা (আনারের মেয়ে)’র জন্য একটি রুম ও আমার ছেলেরা থাকবে বলে একটি রুম নির্ধারণ করে দেয়। সেসেই থেকে ভাইজির রুমটি চার বছর তালা দেয়া। আর আমার ছেলে দেোয়া রুমে আমরা থাকি।
কিছুদিন আগে রুবিনা আমার বলল চাচা তোমার জামাই বিদেশ যাবে আমার এক লক্ষ টাকা দিতে হবে আমি প্রথমে ত্রিশ হাজার টাকা দিতে রাজি হই এবং পরবর্তীতে আরও কিছু দিব বলি। কিন্তু গত রবিবার সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ বকুলের কাছে আমার ভাইজি বিচার দেয়। যথা সময়ে আমি সেখানে যায়। সেখানে চেয়ারম্যান আমার ঘর বাবদ ১লাখ ৫০হাজার টাকা দাবি করে। যেখানে আমার ভাইজি পাবে ১লাখ ১০হাজার আর বাকী ৪০হাজার বকুলের পোষ্য পোলাপানের জন্য। আমার কোন থাকার জায়গা না থাকায় আমি ঘরটির বিনিময়ে টাকা দিতে রাজি হয় এবং কিছু সময় চাই। কিন্তু গত রবিবার বকুলের আদেশে রুবিনার নেতৃত্বে খায়রুল, রানা, সজিবসহ ৮/১০জন বহিরাগত সন্ত্রাসী আমার অনুপস্থিতিতে আমার বসত ঘরে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট করে মালামাল বাহিরে ফেলিয়ে দেয় ও মুল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে যায়।
বিষয়টির সুষ্ট সমাধান পেতে ইতিমধ্যে তিনি বাঁগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদে ও বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্দকেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে আরো জানা গেছে।
অভিযোগ বিষয়ে রুবিনা জানান,আমার বিশেষ প্রয়োজনে চাচার কাছে টাকা চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করলে বকুল চেয়ারম্যনকে বলি। তিনি তার লোকজন দিয়ে আমার পিতার ঘরে তালা মেরে দিয়েছে।
এ বিষয়ে বাগআঁচড়া ইউপির চেয়ারম্যন মোঃ আব্দুল খালেক জানান, সরকারী কলোনির জমি জমা নিয়ে আমার পরিষদের কর্মচারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে উভয়পক্ষকে মিমাংসার নিমিত্তে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে পাঠায় ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্নরাখতে উভয়পক্ষের তালা ঝুলিয়ে রাখতে বলি।