স্টাফ রিপোর্টার – নওয়াপাড়ায় সরকার গ্রুপের মালিক আলমগীর সরকারের আবাসিক ভবনের পানির ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হওয়া রং মিস্ত্রী হাবিবুর রহমান খাঁ হত্যায় ব্যবহৃত ছুির উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার ৯০ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও আসামী গ্রেফতার হয়নি। হত্যার কোন ক্লু ও উদ্ধার হয়নি।লাশ উদ্ধারের পর ওই দিন বিকালে নিহতের ভাই ইউছুপ আলী বাদি হয়ে এক জনকে আসামী করে এবং অজ্ঞত কয়েক জন উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং -১৬। ধারা-৩০২/২০১/৩৪ তারিখ: ১৯-১০-২০১৯। মামলার তদন্তকারী থানা পুলিশের এস আই আব্দুর রহমান জানান, হাবিবুর রহমান হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামী করা হয়েছে তার ভাইয়ের সহকর্মী মামুন মোল্যাকে। মামুন মোল্যার বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার বাটাজোড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের হাবিল মোল্যার ছেলে। মামুন পরিকল্পিত ভাবে হাবিবকে হত্যা করেছে। হত্যার সময় আরো লোক ছিলো বলে পুলিশ ধারনা করছে। মামুনের একা দ্বারা এত বড় লাশ গুম করা সম্ভাব না তিনি মন্তব্য করেন। এ কারনে আমরা কয়েকটি গোয়েন্দা স্ংস্থা মিলে হত্যার ক্লু ও ঘটনার জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। লাশের ময়না তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কি ভাবে হত্যা করা হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, হত্যার পর থেকে আমারা দফায় দফায় ঘটনা স্থলে যেয়ে আলামত উদ্ধারের চেষ্টা করছি। গতকাল রোববার টয়লেটের প্যানের মধ্যে অনুসন্ধান করে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছি। আশা করি তাড়াতাড়ি আসামী গ্রেফতার হবে। গত শনিবার (১৯-১০-১৯) দুপুরে অভয়নগর থানা কার্যালয়ের সন্নিকটে বোয়ালমারী পোলের পাশে অবস্থিত আলমগীর সরকারের সাত তলা আবাসিক ভবনের নীচ তলার রিজার্ভ পানির ট্যাঙ্ক থেকে রং মিস্ত্রী ও রং মিস্ত্রীর ঠিকাদার হাবিবুর রহমান খাঁর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। অল্প সময়য়ের মধ্যে সামান্য কাপড়ের ব্যবসা থেকে শিল্পপতি হয়ে উঠেছেন আলমগীর সরকার। তার আবাসিক ভবনে এ ধরনের হত্যান্ডকে ঘিরে জনমনে নানা কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।