খুলনা প্রতিনিধি – নওয়াপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক পৌর কমিশনার ও শ্রমজীবি সমন্বয় পরিষদের অন্যতম নেতা মোল্যা ওলিয়ার রহমান হত্যা মামলার আসামী খুলনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও পেশাদার ভাড়াটিয়া খুনি সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম ওরফে রুবেল (২৮) এবং দক্ষিণবঙ্গের মাদক সম্রাট ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী খন্দকার তারেকুজ্জামান ওরফে তারেককে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ২টি বিদেশী ওয়ান স্যুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলি ও ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ফুলতলা থানাধীন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম ওরফে রুবেল খুলনা জেলার ফুলতলা থানাধীন দামোদর উত্তরপাড়া এলাকার মোঃ তোফায়েল আহমেদের ছেলে ও খন্দকার তারেকুজ্জামান ওরফে তারেক নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানাধীন বাঐসোনা এলাকার মৃত খন্দকার আতিয়ার রহমানে ছেলে।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম ওরফে রুবেল তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, হত্যা ও অস্ত্র আইনের একাধিক মামলার পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে নওয়াপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা মোল¬া ওলিয়ার হত্যা, মিন্টু হত্যাসহ ৩টি হত্যা মামলা, ২টি অস্ত্র আইনে মামলা এবং মাদক আইনে ২টি মামলা রয়েছে। সে একজন পেশাদার ভাড়াটিয়া খুনি। এমনকি তার বিরুদ্ধে ফুলতলা থানায় ৬টি গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলতবী আছে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের মাদক সম্রাট হিসেবে খ্যাত খন্দকার তারেকুজ্জামান ওরফে তারেক মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশী অভিযান জোরদার হওয়ার পর থেকে প্রায় এক বছর যাবৎ আত্মগোপনে থেকে একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্রের ছত্রছায়ায় থেকে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। মাদক ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি একটি পেশাদার সন্ত্রাসী গোষ্ঠিকে অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে। তার বিরুদ্ধে নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানায় অস্ত্র আইনে ২টি এবং মাদক আইনে ২টি মামলা
থাকায় সে র্দীঘদিন আত্মগোপনে ছিল। খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক তোফায়েল আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতারের করে। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। পরে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুক্ত রায় চৌধুরী বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ফুলতলা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে ২টি মামলা দায়ের করেছেন। আরো তথ্য উদঘাটনের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আ