নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃনবীগঞ্জে আলোচিত পানিউমন্দা নোয়াগাঁও গ্রামেস সংঘটিত নারকীয় তান্ডব ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মামলার মূল আসামী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বহিস্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুররহমান মুকুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকালে পালিয়ে যাবার সময় নবীগঞ্জ থানা ও হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করেছে।সুত্রে জানাযায়,গত রবিবার সকালে পুর্ব শক্রতার জের ধরে উপজেলার গজনাইপুর ইউপির সাতাইহাল ৬ মৌজার শসস্ত্র লোকজন প্রায় ৩ কিঃ মিঃ দুরে অবস্থিত পানিউন্দা ইউপির নোয়াগাঁও রুক্ষারহাওর পাড়ের মানুষদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট,অগ্নিকান্ডসহ নারকীয় তান্ডব চালায়। এতে ১৫টি বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়। লুটপাট করে নেয়া হয় গরু, ছাগল, হাসঁ মোরগসহ বিপুল পরিমান ধান ও আসবাবপত্র। ক্ষতিগ্রস্থ হয় প্রায় কোটি টাকা। এ ঘটনার পর থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। এ লোমহর্ষক ঘটনায় মঙ্গলবার (১লা জুন) নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে জামাল হোসাইন বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় গজনাইপুর ইউপির বহিস্কৃত চেয়ারম্যান ওউপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন আহমদসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০০/২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। পুলিশ ইতিপুর্বে ৭জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এলাবাসী ঘটনার গডফাদারদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে আসছে। গতকাল বুধবার বিকালে নোয়াগাঁও গ্রামে সংঘটিত নারকীয় তান্ডব ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দায়েরী মামলার প্রধান আসামী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বহিস্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুররহমান মুকুল নিজ বাড়ী থেকে হবিগঞ্জ যাবার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় হবিগঞ্জের বৈদ্যার বাজার নামক স্থানে চেক পোষ্ট বসিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি ডালিম আহমদ। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। মোঃ হাসান চৌধুরী