ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল –
পেপটিক আলসারের ওষুধ আমাদের দেশের মানুষ অনেক বেশি গ্রহণ করে।অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়েই চলেছেন দিনের পর দিন। দিনে দুই তিনবার গ্রহণ করেন এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়।
পেট একটু ফেঁপে গেলে, বুকে অস্বস্তি হলে, পেট ভারি হলে, ঢেকুর উঠলে, পায়খানায় একটু সমস্যা হলে আলসারের ওষুধ খেয়ে নেন এমন মানুষ অগণিত।
বিভিন্ন আলসারের ওষুধ আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়, অ্যান্টাসিড এবং পিপিআই। পিপিআই এর মধ্যে আছে ওমেপ্রাজল, র্যাবিপ্রাজল, প্যান্টপ্রাজল এবং ইসোমেপ্রাজল ইত্যাদি।
এই দুই ধরণের ওষুধ গ্রহণের ফলে নানা শারীরিক সমস্যা হয়। সাধারণ আলসারের ওষুধ ওমিপ্রাজল বেশিদিন একটানা খাওয়ার ফলে অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ে বলে বর্তমানে প্রমাণিত হয়েছে৷ ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। কমে যেতে পারে রক্তে ক্যালসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম। হতে পারে বিভিন্ন সংক্রমণ।
পেটের সমস্যায় অনেকে অ্যান্টাসিড-জাতীয় বড়ি বা সিরাপ খেয়ে থাকেন৷ অ্যান্টাসিডের বিভিন্ন উপাদান ভেদে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে৷ হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা ডায়রিয়া।
অন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অনেক উপাদানের শোষণ কমে যেতে পারে। অ্যান্টাসিড নিয়মিত খেলে কিডনি পাথরের ঝুঁকি বাড়ে। বয়স্ক ও হৃদরোগীদের জন্য বেশি ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ অ্যান্টাসিড ভালো নয়৷যেকোনো অ্যান্টাসিডই অন্য ওষুধের কার্যক্ষমতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
আলসারের ওষুধ বা অ্যান্টাসিড নিজে নিজে বা দীর্ঘদিন খাওয়া ঠিক নয়।এতে হতে পারে নানা সমস্যা। আশা করি সবাই সচেতন হবেন।