সমাজের কণ্ঠ ডেক্স : ২৮ জুন ২০১৯ –
বরিশাল নগরীতে বিস্কুট ও আম খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে এক শিশুকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন বারেক হাওলাদার (৫৫)। শিশুটি ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর তার পরিবার ঠিক বুঝে উঠছিল না কি করা উচিত। এরপর বিষয়টি জানতে পেরে এক প্রতিবেশী ফোন দেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত বারেক হাওলাদারকে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর রসুলপুরচর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার বারেক হাওলাদারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। পাশাপাশি ডাক্তাড়ি পরীক্ষার জন্য ওই শিশুকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত বারেক হাওলাদার নগরীর রসুলপুরচর এলাকার মৃত সফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। নির্যাতনের শিকার শিশুটি নগরীর রসুলপুরচরের একটি স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ওই শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে নগরীর রসুলপুরচর এলাকায় বসবাস করে। তার বাবা থেকেও নেই। শিশুটি জন্মের পর তার বাবা তাদের ছেড়ে চলে যায়। পরে তার মা আরেকটি বিয়ে করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি স্কুলের পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরে মায়ের কাছে খাবার চায়। ঘরে খাবার না থাকায় তার মা তাকে পার্শ্ববর্তী দোকানে খাবার কেনার জন্য পাঠান। পথে বারেক হাওলাদার তাকে আম ও বিস্কুট দেয়ার কথা বলে ফুঁসলিয়ে নিজের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি কাউকে না জানাতে শিশুটিকে হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন বারেক হাওলাদার।
পরে শিশুটি বাসায় গিয়ে কাঁদতে থাকে। তার মা কান্নার কারণ জানতে চাইলে ধর্ষণের বিষয়টি জানায় শিশুটি। এরপর তার মা ঠিক বুঝে উঠছিলেন না কি করা উচিত। প্রতিবেশী মো. জীবন নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী বিষয়টি জানতে পেরে ফোন দেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। এরপর পুলিশ সদর দফতরের আইসিটি ডেস্ক থেকে বিষয়টি বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় অবহিত করা হয়। খবর পেয়েই ওই শিশুর বাড়িতে যায় পুলিশ। তারা শিশুটি ও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে বারেক হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাতেই থানায় মামলা করেন ওই শিশুর মা।
প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষার্থী মো. জীবন জানান, নির্যাতনের শিকার শিশুটি ও তার মাকে কাঁদতে দেখে কারণ জিজ্ঞেস করি। তারা ধর্ষণের ঘটনা জানান। তারা কি- করবেন বুঝতে পারছিলেন না। তখন জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি। ঘণ্টাখানেকর মধ্যে পুলিশ এসে সবকিছু শুনে ধর্ষক বারেক হাওলাদারকে গ্রেফতার করে।
কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশেরর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান, পুলিশ সদর দফতরের আইসিটি ডেস্ক থেকে বিষয়টি অবহিত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ সদস্যরা। তারা শিশুটি ও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বারেক হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শুক্রবার দুপুরে ওই শিশুটিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত বারেক হাওলাদারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।