নাজিমুদ্দিন জনি – সকলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন একটি অসহায় পরিবারের জন্যে। ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের নায়ড়া গ্রামের ইট ভাটার ট্রলি চালক হত দরিদ্র মোঃ রুবেল হোসেনের আগুনে পোড়া শিশু কন্যা ”মারিয়া” (৭)। সে স্হানীয় নায়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর ছাত্রী, গত বছরের ডিসেম্বরে শীতের থেকে একটু গরমের তাপ পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে পুরো শরীর ঝলসে যায় মারিয়ার। অসহায় পিতা ট্রলি চালক মেয়ের চিকিৎসার্থে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীর সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে সে সময় চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন।সেসময় মেয়ের চিকিৎসার জন্য যশোরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করান।কিন্তু অবস্হার তেমন পরিবর্তন না হওয়ায় চিকিৎসকের পরাপর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।সেখানে ১৫দিনে খরচ হয় প্রায় দু’লক্ষ টাকা।অসহায় পরিবারের জন্য এই ব্যায় বহুল খরচ যোগাতে না পেরে সেখান থেকে বাড়ীতে ফেরত আনেন পিতা রুবেল। বর্তমানে যশোর কুইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা চলছে মারিয়ার।দরিদ্র পিতা মাতামাতার পক্ষে শিশু কন্যার ব্যায় বহুল চিকিৎসা চালাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে নিদারুন কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছে।অথচ পুরোপুরি মারিয়াকে সুস্হ করে তুলতে এখনো প্রায় ৬ লক্ষ টাকা দরকার। চোখে সর্সে ফুল দেখছে অসহায় পরিবারটি। মারিয়ার পিতা ভাটার ট্রলি চালক রুবেল বলেন,সারাদিন ভাটার ট্রলি চালিয়ে রোজগার হয় ২৫০/৩০০টাকা।সংসারে মারিয়া ছাড়াও স্ত্রী দিয়ে আরও একটি কন্যা রয়েছে।সব মিলিয়ে সংসার চালাতেই নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্হা।সেখানে আগুনে পুড়া সন্তান মারিয়ার চিকিৎসা তার পক্ষে খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।আত্মীয় স্বজন, গ্রামবাসী ও নিজের কষ্টার্জিত টাকায় চিকিৎসা সেবা চালিয়েছি।আর তো সম্ভবপর হচ্ছেনা।কন্যাা চিকিৎসা চালাতে স্হানীয় এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন ও করেছি।কিন্তু তেমন কোন সাড়া ও সহযোগীতা পায়নি। এমতাবস্থায় শিশু কন্যার চিকিৎসা সেবা চালাতে সমাজের বিত্তবান সহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।যাতে তার শিশু কন্যা মারিয়া সুস্হ হয়ে আরও দশটি শিশুর মত হেঁসে খেলে বেড়াতে পারে।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা মোবাইল নং-০১৭৩৩-৪৫৭৩৩১ (বিকাশ)।